Sikkim-Jalpaiguri: মোটা পলির চাদড়ে ঢাকা রাস্তাঘাট-স্কুল, জমিতে নষ্ট ফসল, ত্রাণ শিবিরই ভরসা টোটগাঁওয়ের প্রায় ৩৫০ পরিবারের

Rony Chowdhury | Edited By: জয়দীপ দাস

Oct 08, 2023 | 8:48 AM

Sikkim-Jalpaiguri: প্রসঙ্গত, সিকিমে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তার জল বেড়ে যায় উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির তিস্তা পার্শ্ববর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায়। জলমগ্ন হয়ে পড়ে টোটগাঁও। সে কারণেই মালবাজার মহকুমার অন্তর্গত বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের তিস্তার পাড়ের বাসিন্দাদের আস্তানা এখন অস্থায়ী ত্রাণ শিবির।

Sikkim-Jalpaiguri: মোটা পলির চাদড়ে ঢাকা রাস্তাঘাট-স্কুল, জমিতে নষ্ট ফসল, ত্রাণ শিবিরই ভরসা টোটগাঁওয়ের প্রায় ৩৫০ পরিবারের
চিন্তায় উড়েছে ঘুম
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

মালবাজার: তিস্তার জলস্তর নামলেও এখনও কাটেনি আতঙ্ক। সিকিমের ভয়াবহ বিপর্যয়ে মনে বাসা বেঁধেছে ভয়। তিস্তা নদীর যেখানে সেখানে হচ্ছে বিস্ফোরণ, চাষের জমি বাড়ি ঘরের ভেতরে পড়ে রয়েছে পলি। ফের বন্যা হতে পারে সেই আতঙ্কেই ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়ে আছেন মালবাজার মহকুমার বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের টোটগাঁওয়ের বাসিন্দারা। ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকশো বিঘা চাষের জমি। চাষের জমির উপরে বালি পলি পড়েছে। ফের তিস্তায় জল বাড়তে পারে এই আতঙ্কে বাড়ি ফিরছেন না টোটগাঁওয়ের প্রায় ৩৫০ পরিবার। 

প্রসঙ্গত, সিকিমে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তার জল বেড়ে যায় উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির তিস্তা পার্শ্ববর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায়। জলমগ্ন হয়ে পড়ে টোটগাঁও। সে কারণেই মালবাজার মহকুমার অন্তর্গত বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের তিস্তার পাড়ের বাসিন্দাদের আস্তানা এখন অস্থায়ী ত্রাণ শিবির। তিস্তার জল কমে গেলও কয়েক ফুট উঁচু  পলি জমে গিয়েছে চাষের জমি থেকে শুরু বাড়ি ঘরে। রাস্তাঘাট, স্কুল সর্বত্র পলি জমে যাওয়ায় হাঁটাচলা করা বা থাকার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঘরের কোনায় কোনায় ঢুকে গিয়েছে পোকামাকড়। চাষের ফসল পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মাথায় হাত কৃষকদের। নদীগর্ভে চলে গিয়েছে কয়েকশো বিঘা জমি, এমনটাই দাবি কৃষকদের।  

আতঙ্কে নদীতে নামতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি জলস্রোতে ভেসে আসা সেনা জাওয়ানদের গোলা বারুদ, লঞ্চারের সেল, মর্টার যেখানে সেখানে বিস্ফোরণ হচ্ছে। আগুনের ফুলকি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে নদীর বিভিন্ন জায়গা। 

প্রশাসনের তরফে সেই এলাকার দুটি প্রাইমারি স্কুলে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেখানেই আশ্রয় নিয়েছে এই এলাকার প্রায় ৩৫০ পরিবার । তাদের চোখে মুখে ভেসে উঠছে আতঙ্কের ছবি। স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে তাদের তিনবেলা খাবার ব্যবস্থা ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাদ্যের মেনুতে থাকছে মাছ, মুরগির মাংস, দই। রান্নাবাড়া করছেন গ্রামের বাসিন্দারাই। শুধু যে প্রশাসন তরফ থেকে সাহায্য করছে এমনটা নয়, এগিয়ে এসেছে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সমাজসেবকরা।

 

Next Article