জলপাইগুড়ি: মহিলাকে নৃশংস ভাবে খুনের (Murder) অভিযোগ ময়নাগুড়িতে। ময়নাগুড়ি চূড়াভাণ্ডার এলাকায় ফাঁকা বাড়িতে নৃশংসভাবে ওই মহিলাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। মৃতের নাম লক্ষ্মী হরিজন (৪৮)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক বছর হল দুই মেয়েরই বিয়ে দিয়েছেন লক্ষ্মী। স্বামী কোচবিহারে একটি জুতোর দোকানে কাজ করেন। বাড়িতে একাই থাকেন লক্ষ্মী। বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে এক প্রতিবেশী দেখেন, বারান্দা ও টিউবওয়েলের পাশে রক্তের দাগ। চুল ছিঁড়েও পড়ে রয়েছে। তা দেখে ওই পড়শির সন্দেহ হয়। তিনি বাকিদের ডেকে আনেন। এরপরই ঘরের দরজা ঠেলে ঢুকে দেখেন লক্ষ্মীর নিথর দেহ পড়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইটাহারে তালাবন্ধ ঘর থেকে দম্পতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার
প্রাথমিক ভাবে স্থানীয়দের অনুমান, কেউ বা কারা তাঁর ঘরে কোনও বদ মতলবে ঢুকেছিল। কিন্তু বাধা পাওয়ায় পাল্টা লক্ষ্মীর উপর হামলা করে। ধারাল অস্ত্রের কোপ বসায়। মাথায় অস্ত্রের কোপ বসানোর অভিযোগ উঠেছে। টেনে হিঁচড়ে লক্ষ্মীকে ঘরে নিয়ে যাওয়ার সময় চুল ছিঁড়ে যায় বলে অনুমান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ময়নাগুড়ি থানার আইসি ভূষণ ছেত্রী। সঙ্গে ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। মৃতদেহ উদ্ধার করে জলপাইগুড়ির মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে যান ডিএসপি (ক্রাইম) বিক্রমজিৎ লামা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াংডেন ভুটিয়াও। খুনের মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। লক্ষ্মীর স্বামী শঙ্কর হরিজন ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।