জলপাইগুড়ি: শবদেহ কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে পদক্ষেপ করলেন রাজ্যের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীরা। রাজ্যব্যাপী সংগঠন গড়ার উদ্যোগ নিলেন সেচ্ছাসেবীরা। শুরু হল পশ্চিমবঙ্গ সেচ্ছাসেবী ঐক্য মঞ্চের পথচলা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন সময় সমাজসেবা মূলক কাজ করতে গিয়ে নানাবিধ কারনে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সমাজসেবীদের। কখনও কখোও আবার গ্রেফতার পর্যন্ত হতে হচ্ছে তাঁদের। সমাজকর্মীদের ধারণা সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে দোকান কর্মচারী সকল স্তরের মানুষের রয়েছে সংগঠন। বিপদে আপদে সেই সংগঠন ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু একমাত্র স্বেচ্ছাসেবীদের কোনও সংগঠন না থাকায় কোনও একটি সেচ্ছাসেবী সংস্থা বিপাকে পড়লে সংবাদ মাধ্যম বা সামাজিক মাধ্যমে খবর পেয়ে পরবর্তীতে মানুষ তাদের পাশে এলেও চটজলদি তাদের পাশে দাঁড়াবার মতো লোকবল থাকে না। এই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে এবার নিজেদের সংগঠন গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
রবিবার ছিল গ্রিন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ২০ বছরের পূর্তি অনুষ্ঠান। দিনভর নানাবিধ কর্মসূচি ছিল। আর এই উপলক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির আমন্ত্রণ ছিল। সেই আমন্ত্রনে সারা দিয়ে উপস্থিত হয় রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রায় দেড় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এরাই মিলিত হয়েছিল জলপাইগুড়ি রবীন্দ্র ভবন মঞ্চে। তাদের উপস্থিতিতে তৈরি হয় পশ্চিমবঙ্গ স্বেচ্ছাসেবী ঐক্য মঞ্চ। রবিবার থেকেই গুটিগুটি পায়ে পথ চলা শুরু হল সেই সংগঠনের। আপাতত ১৩ জন সদস্য নিয়ে ৬ মাসের জন্য একটি এডহক কমিটি তৈরী করা হয়েছে। এরপর গণতান্ত্রিক উপায়ে পূর্নাঙ্গ কমিটি তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এ ব্যাপারে গ্রিন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক অঙ্কুর দাস বলেছেন, “মাঝেমধ্যে আমাদের সরকারের রোষানলে পড়তে হচ্ছে। সম্প্রতি জঙ্গিপুরে ছয় জন স্বেচ্ছাসেবীকে সমাজসেবা মূলক কাজ করতে গিয়ে গ্রেফতার হতে হয়। এছাড়া আমি নিজেও এই রোষানলের শিকার। এইসব ঘটনা থেকে আমাদের উপলব্ধি হয়েছে আমরা একজোট নই। তাই আমরা একজোট হয়েছি। আমারা পশ্চিমবঙ্গ স্বেচ্ছাসেবী ঐক্য মঞ্চ নামে একটি সংগঠন গড়া হল।” বিষ্ণুপুর থেকে এসেছিলেন আমরা করব জয় নামে সেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্নধার মুজিবর কাজি। তিনি বলেন, “আমরা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াব। সারাক্ষণ মানুষের সেবা করব। আবার হয়রানির শিকার হব, এ ভাবে বেশিদিন চলতে পারে না। এবার এই সংগঠন তৈরি হয়ে গেল। এই কমিটি সকলের বিপদে আপদে ঝাঁপিয়ে পড়বে।”