ধূপগুড়ি: অমানিবকতার ছবি। ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে আহত যাত্রী। রেললাইনের উপর রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাতে থাকলেও সঠিক সময় দেখা মিলল না রেল কর্তাদের। এমনকী সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন না কেউ। শেষমেশ মৃত্যু হল যুবকের।
জলপাইগুড়ি ধূপগুড়ি আলতা গ্রাম স্টেশনের মাঝে এক ব্যক্তিকে রেল লাইনের মধ্যে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকেন রেললাইনে। অভিযোগ, রেল দফতরকে খবর দেওয়ার পরেও এক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রেলের আধিকারিকরা। যার কারণে দীর্ঘ প্রায় এক ঘণ্টা লাইনে পরে থাকেন রক্তাক্ত অবস্থায়। অনেকে আবার সেই দৃশ্য মোবাইলবন্দি করেন। যুবকের সঙ্গে কথা বলে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করেন মোবাইলে। তবে আইনি বেড়াজালে পড়বেন এই ভয়ে তাঁকে রেললাইন থেকে উদ্ধার করার সাহস দেখাননি এলাকাবাসীরা এমনটাই দাবি।
পরে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয়। ধূপগুড়ি রেলস্টেশন সংলগ্ন ওভারব্রিজ এলাকার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডাউন লোকমান্য তিলক ট্রেনটি গুয়াহাটি থেকে মুম্বইয়ের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় ধূপগুড়ি স্টেশন পার হতেই এক ব্যক্তি ওই ট্রেন থেকে পড়ে যান। ট্রেনটি তার উপর দিকে চলে যাওয়ায় তার পা দুটো কাটা যায়। তবে তিনি সেখানেই জীবিত অবস্থায় সেখানেই পড়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা ধূপগুড়ি থানা এবং দমকল বাহিনীকে খবর দিলে প্রায় একঘণ্টা পরে তাঁকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম খতিবুল আলম। তিনি অসমের বাসিন্দা। রেলের আধিকারিকদের অনুমান যাত্রীটি ট্রেনের দরজা থেকে হয়তো পড়ে গিয়ে থাকতে পারেন।তবে এখনও সঠিক পরিচয় জানা যায়নি বলেই দাবি রেলের। ঘটনার তদন্ত করছে জিআরপি।