করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রবেশদ্বার হতে পারে উত্তরবঙ্গ! কঠোর প্রশাসন, জারি একাধিক নির্দেশিকা

North Bengal: শিলিগুড়ি পুরনিগম সূত্রে খবর, শহরে ফের শুরু হবে করোনা সতর্কীকরণ প্রচার। আগামী সাতদিনের জন্য বন্ধ রাখা হবে ফুলেশ্বরী বাজার।

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রবেশদ্বার হতে পারে উত্তরবঙ্গ! কঠোর প্রশাসন, জারি একাধিক নির্দেশিকা
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2021 | 9:05 PM

শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি: দেশে দৈনিক সংক্রমণ হ্রাস পেলেও নতুন করে উত্তর-পূর্ব ভারতে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে বিপদের সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজ্যের স্বাস্থ্য় শিবির।  করোনার তৃতীয় ঢেউ বঙ্গে আছড়ে পড়ার আগে থেকেই বিশেষ প্রস্তুতি নিতে তত্‍পর উত্তরবঙ্গ (North Bengal) প্রশাসন। শনিবার একদিকে শিলিগুড়ির পৌরনিগমে (Siliguri Municipal Corporation) রিভিউ বৈঠক করে পুরপ্রধান গৌতম দেব, অন্যদিকে, জলপাইগুড়িতে জেলাশাসকের নির্দেশ পেয়ে ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে পুরসভা।

বৃহস্পতিবার, করোনা বিষয়ক  ‘গ্লোবাল অ্যাডভাইজ়রি কমিটি’র সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা। উত্তরবঙ্গ যেহেতু উত্তর-পূর্ব ভারতের সংযোগদ্বার তাই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রবেশের সম্ভাব্য় কারণও হতে পারে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) পরিবহন। কারণ, প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে যাতায়াতে উত্তরের রেল ও সড়ক পথই ভরসা। সেক্ষেত্রে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকছেই। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে কমিটির সদস্যরা এমন আশঙ্কার কথাই প্রকাশ করেছেন বলে সূত্রের খবর। এরপরেই, শনিবার, শিলিগুড়ি পৌরনিগমে রিভিউ বৈঠক করেন পুরপ্রশাসক গৌতম দেব, জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য় দফতরের অন্যান্য প্রতিনিধিরা।

শিলিগুড়ি পুরনিগম সূত্রে খবর, শহরে ফের শুরু হবে করোনা সতর্কীকরণ প্রচার। আগামী সাতদিনের জন্য বন্ধ রাখা হবে ফুলেশ্বরী বাজার। পাশাপাশি এলাকায় ছোট ছোট জ়োন করে স্যানিটাইজেশনে জোর দেওয়া হবে। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আগত সকল যাত্রীদের আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ অথবা টিকার দুটি ডোজ়প্রাপ্তির শংসাপত্র বাধ্যতামূলক। এমনকী, শংসাপত্র ছাড়া হোটেলেও প্রবেশ নিষিদ্ধ বলেই নির্দেশ প্রশাসনের। যে যাত্রীর শংসাপত্র বা টেস্ট রিপোর্ট থাকবে না বাস টার্মিনাসের বা বিমানবন্দরেই আরটিপিসিআর টেস্ট বা র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হবে।

পুরপ্রশাসক গৌতম দেব এদিন বলেন, “কোভিড মোকাবিলাই আমাদের প্রাথমিক কর্তব্য। রিভিউ বৈঠকে সে বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” জেলাশাসক এস পুণ্যবালম বলেন,  “হোটেল মালিকদের বুকিং করেই পর্যটকেরা আসছেন। আমরা হোটেলে হোটেলে টিম পাঠাচ্ছি নথি পরীক্ষার জন্য। হোটেল মালিকদের স্পষ্ট বলা হয়েছে, নির্দেশিকায় বলা শর্তের বাইরে যেসব পর্যটক রয়েছেন, তাঁদের বুকিং নেবেন না। এইটুকু অসুবিধা মানতেই হবে। শুধু হোটেল নয়, পরিবহনের ক্ষেত্রেও একই বিধিনিষেধ মানা হবে।”

অন্যদিকে জলপাইগুড়িতে মুখ্য সচিবের নির্দেশের পরেই নড়েচড়ে বসল জেলা প্রশাসন। রোনা ঠেকাতে পৌরসভা গুলিকে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকের নির্দেশ দিলেন জলপাইগুড়ি জেলাশাসক। শনিবার, পুলিশ,টোটো ইউনিয়ন ও ব্যাবসায়ী সমিতি গুলির সঙ্গে বৈঠক করলেন মহকুমা শাসক ও পুরপ্রশাসনের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, প্রশাসনের উদ্যোগে কমিটি চালু করে বিশেষ সতর্কতামূলক প্রচার শুরু করা হবে। মাস্ক ব্যবহার ও এলাকা স্যানিটাইজেশনে জোর দেওয়া হবে। যাঁরা টিকা পাননি, তাঁদের টিকাকরণ যাতে দ্রুত হয়, সেই ব্যবস্থা করা হবে। আরও পড়ুন: ‘কথায় কাজে মিল নেই’! ‘রঙ’ দেখে টিকাদানের অভিযোগ বিজেপির, বিক্ষোভ দেগঙ্গায়