জলপাইগুড়ি: সিকিমে পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির জের। তিস্তার জারি হলুদ সঙ্কেত। সোমবার সকালে তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকা অর্থাৎ দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি করেছে সেচ দফতর।
রবিবার রাতে নতুন করে বৃষ্টি হয়েছে, তাতে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়। রাতে কালীঝোড়া থেকে প্রায় ২৫০০ কিউমেক জল ছাড়ায় এই জলস্তর বৃদ্ধি পায়।
গত ২৪ উত্তরের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ
জলপাইগুড়ি ৪১.২০ মিলিমিটার
আলিপুরদুয়ার ১১৪.২০ মিলিমিটার
কোচবিহার ৪৬. ৪০ মিলিমিটার
শিলিগুড়ি ২৬.০০ মিলিমিটার
মালবাজার ৩০.৮০ মিলিমিটার
হাসিমারা ৪০.০০ মিলিমিটার
মাথাভাঙা ৩৯. ৪০ মিলিমিটার
তুফানগঞ্জ ৩৭.২০ মিলিমিটার
ময়নাগুড়ি ৩২.০০ মিলিমিটার
একটানা প্রবল বৃষ্টিতে গত কয়েকদিন ধরেই বিপর্যস্ত সিকিম। উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় ধস। পরিস্থিতি এমনই যে পাহাড় থেকে ঘন ঘন বোল্ডার পড়ছে রাস্তার ওপর। হোটেলে আটকে পড়ছেন বহু পর্যটক। তাঁদের অনেকেই এ রাজ্যের। পর্যটক ও গাড়ি চালকদের নিরাপত্তা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উত্তর সিকিম যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না সিকিম প্রশাসন।
ইতিমধ্যেই ধসের কবলে পড়েছে পর্যটকদের একটি গাড়ি। সিকিম প্রশাসন সতর্ক করেছে, রাস্তা খোলা থাকলেও রাতে কোনও অবস্থাতেই গাড়িতে যাতায়াত না করতে। কারণ প্রবল বৃষ্টিতে কুয়াশার চাদরে মুড়ে রয়েছে উত্তর সিকিমের অধিকাংশ এলাকা। সিকিমের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন এ রাজ্যের প্রশাসনও।
দার্জিলিং, কালিম্পং, ডুয়ার্স, শিলিগুড়ি, সিকিমে প্রবল বৃষ্টির জের। সিকিমগামী জাতীয় সড়কে একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। তাতে আটকে রয়েছেন বহু পর্যটক। পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় উদ্বেগ পাহাড়ে।
এদিকে সোমবারও উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে
বৃষ্টির সতর্কবার্তা
——————————
সোমবার কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
সিকিম, দার্জিলিং, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি।
মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও সিকিমে।
বুধবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে।