জলপাইগুড়ি: হরিজন বস্তির বাসিন্দা প্রতাপ রাউত। মঙ্গলবার সকালে তাঁর বাড়িতে এসে পৌঁছল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাঠানো চিঠি। চিঠি পেয়ে আপ্লুত রাউত পরিবার। তবে হরিজন বস্তির এই পরিবারে মোদীর চিঠি এই প্রথমবার আসেনি। আগেও চিঠি পেয়েছেন প্রতাপ। দলিত ওই যুবকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর চিঠির আদান-প্রদান হয়েছে একাধিকবার। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন প্রতাপ। সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কেন বারবার আসে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি?
জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রের কর্মী ছিলেন প্রতাপ রাউত। চা পাতার জোগানের পাওয়ার অভাবে ২০১৫ সালে বন্ধ হয়ে যায় সেই নিলাম কেন্দ্র। কাজ হারান প্রতাপ। ব্যক্তিগত ভাবে সেই নিলাম কেন্দ্র খোলার জন্য লড়াই চালাতে থাকেন তিনি। ২০১৬ সালে নিলাম কেন্দ্র চালু করার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রথম চিঠি দিয়েছিলেন প্রতাপ। সেটাই শুরু। কোনও উত্তর আসেনি তার।
৫ বছর পর ২০২১ সালের মার্চ মাসে আচমকাই তাঁর পাঠানো চিঠির উত্তর আসে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক থেকে। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, জলপাইগুড়িতে চা নিলাম কেন্দ্র চালানোর মতো উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। এছাড়া শিলিগুড়িতে যেহেতু একটি নিলাম কেন্দ্র চলছে তাই কাছাকাছি আর একটি নিলাম কেন্দ্র চালু করার কোনও যুক্তি নেই বলেও চিঠির উত্তরে জানানো হয়েছে।
ওই চিঠির প্রেক্ষিতে ফের তথ্য দিয়ে পালটা চিঠি দেন প্রতাপ রাউত। এইভাবে মোট ১২ বার চিঠি আদান প্রদান হয় তাঁদের। অবশেষে জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র পুনরায় চালু করতে উদ্যোগী হয় ভারতীয় চা পর্ষদ।
এরপর চলতি বছরের জুন মাসের ৩ তারিখ, প্রতাপের জন্মদিনে আচমকাই আসে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি। শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো হয় তাঁকে। এরপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্মদিন। সেই উপলক্ষে তাঁকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান প্রতাপ। জন্মদিনের শুভেচ্ছা পত্রের প্রাপ্তি স্বীকার করে এবার ফের শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘নমস্কার প্রতাপ রাউতজি। জন্মদিনে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানোর জন্য হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’