জলপাইগুড়ি: জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর তার পর থেকেই হাসপাতালে ভর্তি যুব তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। রবিবারই জেলা বিজেপির তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় এ নিয়ে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা খতিয়ে দেখা দরকার। আর সে কারণে আদালতে যাবে তারা। এরইমধ্যে সোমবার জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দিলেন চিকিৎসকরা। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চার সদস্যর মেডিক্যাল বোর্ড এই পরামর্শ দিয়েছে।
জলপাইগুড়ির এক সমাজসেবী দম্পতির আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় গত ১৮ অক্টোবর জলপাইগুড়ি জেলা আদালত তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। বিজেপির অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ শোনার পর থেকেই অসুস্থ বোধ করেন তৃণমূল নেতা। রাতেই তাঁকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফুসফুসে সংক্রমণের কথা বলা হয় হাসপাতাল থেকে। সৈকতের জন্য হাসপাতালে আলাদা কেবিন পর্যন্ত বরাদ্দ করা হয়।
এরইমধ্যে রবিবার সরব হয় জেলা বিজেপি। পুলিশ ও জেলা স্বাস্থ্য দফতর সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সভাপতি বাপী গোস্বামী। পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরকে পার্টি করে আদালতে মামলা করতে চলেছেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন। এসবের মধ্যেই জলপাইগুড়ি হাসপাতাল সূত্রে খবর, সৈকতকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করতে বলা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ফুসফুসের সংক্রমণ কমেছে সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের। তবে তাঁর পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়েছে। এন্ডোস্কপি ও ইকোকার্ডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন রয়েছে তৃণমূলের এই নেতার। তবে এই পরীক্ষাগুলি জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে করা হয় না। তাই এখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সোমবার রাতেই এই পরামর্শ দেওয়া হয় বলে খবর।