জলপাইগুড়ি : মাল বাজারের বিপর্যয়ের পর আঙুল উঠেছে প্রশাসনের দিকে। পাহাড়ি নদী যে চেহারা বদল করে, তা সবারই জানা। আর গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া যা পরিস্থিতি, তাতে হড়পা বান আসা যে অপ্রত্যাশিত ঘটনা নয়, তেমনটাই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তা সত্ত্বেও প্রশাসনের অবহেলার জন্যই কি এই ঘটনা? এই প্রশ্ন যখন সামনে আসছে, তখন পুলিশের দাবি, তাদের তরফ থেকে সব ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
বুধবারের ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় আটজনের। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকে। প্রশাসনের তরফ থেকে তাঁদের সবরকম সাহায্য করা হচ্ছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘আমাদের সব রকম প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু তারপরও ৮ জন মারা গিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনও লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দায়ের হয়নি যে কারও বাড়ির লোক নিখোঁজ রয়েছেন। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে এখানে বিসর্জন হয়। এই রকম কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।’মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন আর কেউ নিখোঁজ নেই। শুক্রবার যে বিসর্জন হবে তার জন্য ক্রেনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
ইতিমধ্যেই মাল নদীর ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন। ঠিক কী হয়েছিল তা জানতে চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। জেলা শাসকদের সঙ্গে কথাও বলেছেন মুখ্য সচিব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই ঘটনার পর ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন। ক্ষতিপূরণ দেবে কেন্দ্রও।
হড়পা বানে আটজনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। জানা গিয়েছে, ওই সময় সিভিল ডিফেন্সের মাত্র আটজন কর্মী ঘটনাস্থলে ছিলেন। আর নদীর ঘাটে নেমেছিলেন হাজার খানেক মানুষ। কর্মীদের হাতে দড়ি ছাড়া বিপর্যয় মোকাবিলার কোনও সরঞ্জাম ছিল না বলেও জানা গিয়েছে। সার্চ লাইটও ছিল না। সার্চ লাইট আনতে বেশ খানিকটা সময় গেলে যায়।