Ram Krishna Mission: ‘রড-কাটারি হাতে ওপরে উঠে গেল ওরা, মুখ ঢাকা হেলমেটে’, ঠিক কী ঘটেছিল রামকৃষ্ণ মিশনে?
Attack on Ram Krishna Mission: মিশনের সম্পাদক জানান, গত ১৮ মে রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ অন্তত ৩০-৩৫ জন লোক ঢোকেন মিশনের ওই ভবনে। অভিযোগ, তাঁদের হাতে ছিল কাটারি, বন্দুক, রড। হেলমেট পরেছিলেন তাঁরা।
জলপাইগুড়ি: রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। বাংলায় এসে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। জলপাইগুড়িতে শালুগাড়ায় অবস্থিত রামকৃষ্ণ মিশনের ‘সেবক হাউস’-এ যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন সম্পাদক স্বামী শিবপ্রেমানন্দ। সাংবাদিক সম্মেলনে করে সোমবার তিনি বর্ণনা করলেন মধ্যরাতে কীভাবে হামলা চালানো হয়েছিল ওই রামকৃষ্ণ মিশনের কর্মীদের।
স্বামী শিবপ্রেমানন্দ জানিয়েছে, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে পড়ে রামকৃষ্ণ মিশনের ওই জমিটি। সেবক রোডের ধারে অবস্থিত ওই জমি মিশনকে দান করেছিলেন প্রয়াত সুনীল কুমার রায় নামে এক ব্যক্তি। শিবপ্রেমানন্দের দাবি, নিয়ম মেনে সুনীল রায় ওই জমি দিয়েছিলেন মিশনকে। সেখান থেকে নানা পরিষেবা দেওয়ার কাজ হয় বর্তমানে। ত্রাণ সামগ্রীও দেওয়া হয়। সেই কেন্দ্রেই রাতের অন্ধকারে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ।
মিশনের সম্পাদক জানান, গত ১৮ মে রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ অন্তত ৩০-৩৫ জন লোক ঢোকেন মিশনের ওই ভবনে। অভিযোগ, তাঁদের হাতে ছিল কাটারি, বন্দুক, রড। হেলমেট পরেছিলেন তাঁরা, ফলে মুখ দেখা যায়নি কারও। বাংলাতেই কথা বলছিলেন। সেই সময় মিশনে দুজন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। তাঁদের হাত বেঁধে দেওয়া হয়, মোবাইল কেড়ে নিয়ে সিম বের করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এরপর ওই কর্মীরা সোজা চলে যান দোতলায়। সেখানে ৫ জন কর্মী ছিলেন। তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। চীৎকার করতেই মারধরও করা হয় তাঁদের। এরপরই ৫ কর্মী ও দুই নিরাপত্তারক্ষীকে ম্যাজিক গাড়িতে তুলে নিয়ে দুষ্কৃতীরা চলে যায় বলে অভিযোগ। ৫ জনকে এনজেপি-র কাছে ছেড়ে দেওয়া হয়, বাকিদের অন্য জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মিশনের তরফে।
উল্লেখ্য, সোমবার বাংলায় নরেন্দ্র মোদী প্রচারে এসে বলেন, “এখানকার মুখ্যমন্ত্রী নিজে সাধু-সন্তদের ধমকাচ্ছেন। এই ধমকানোর ফলে তৃণমূলের গুন্ডাদের সাহসও বাড়ছে। রামকৃষ্ণ মিশনের অপমান, সাধু-সন্তদের অপমান বাংলা সহ্য করবে না।”