নীলেশ্বর সান্যাল ও রনি চৌধুরী
জলপাইগুড়ি ও মালবাজার: উত্তরবঙ্গে লাগাতার বৃষ্টি। সিকিম ও ভুটান দুই দিকের পাহাড়েই নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে বাড়়ছে তিস্তা ও জলঢাকার জলস্তর। তিস্তায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। জলঢাকায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। একইসঙ্গে ভারী বৃষ্টির যে পূর্বাভাস রয়েছে, তা উদ্বেগ বাড়িয়েছে উত্তরের জেলাগুলিতে। ইতিমধ্যেই ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা, ৭টা, ৮টা, ৯টা- এই চার দফায় জল ছাড়া হয়েছে। প্রতি দফাতেই ১৬০০ কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছে গজলডোবায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে।
লাগাতার এই বৃষ্টির জেরে জলস্তর ক্রমেই বাড়ছে তিস্তা নদীতে। মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত এলাকায় তিস্তা নদীতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি দোমহনি থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত এলাকায় জলঢাকা নদীতে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। এদিকে ডুয়ার্সের মালবাজারে বুধবার সন্ধে থেকে ফের শুরু হয়েছে অঝোরে বৃষ্টি। যার জেরে একাধিক জায়গায় জলমগ্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখনও জলমগ্ন টোটগাঁও গ্রাম, সেখানে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
উদ্বেগে বাড়িঘর ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। প্রায় জনা দেড়’শো গ্রামবাসীর এখন ভরসা ত্রাণ শিবিরই। এক চাপা আতঙ্কের মধ্যেই রাত কাটছে গ্রামের সাধারণ মানুষজনের। জল যেভাবে বাড়ছে, যেভাবে বৃষ্টি চলছে সকাল থেকে, তাতে এবার এই ত্রাণ শিবির ছেড়ে অন্য কোথাও আশ্রয় নিতে হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। তাঁদের আশঙ্কা, যেভাবে তিস্তার জল বাড়ছে, এভাবে চলতে থাকলে ত্রাণ শিবিরও জলমগ্ন হয়ে পড়তে পারে।