School Dress Controversy: ‘চাই না নীল-সাদা পোশাক’, সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন স্কুল

Jalpaiguri: নীল-সাদা পোশাকের বিরোধিতায় মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ তার এলাকা বাড়াচ্ছে জলপাইগুড়িতে। গত সপ্তাহে জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল বালিকা বিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা পোশাক পরিবর্তনের বিরোধিতায় রাস্তায় নামে।

School Dress Controversy: চাই না নীল-সাদা পোশাক, সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন স্কুল
বিক্ষোভ কচিকচাদের (নিজস্ব চিত্র)

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Sep 19, 2022 | 1:23 PM

জলপাইগুড়ি: রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত সরকারি স্কুলে পোশাকের রং হবে নীল-সাদা। আর তাতেই যত ক্ষোভ। কারণ সরকারি সিদ্ধান্তের জেরে কোপ পড়েছে ১২৫ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যে। অভিভাবক থেকে পড়ুয়া, এক বাক্যে কেউ চান না নীল-সাদা হোক পোশাক। সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতায করে বিক্ষোভ দেখালেন জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের অভিভাবকরা। জলপাইগুড়ি গার্লস স্কুলের পর সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় দ্বিতীয় স্কুল হিসেবে নাম লেখালো জেলা স্কুল।

নীল-সাদা পোশাকের বিরোধিতায় মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ তার এলাকা বাড়াচ্ছে জলপাইগুড়িতে। গত সপ্তাহে জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল বালিকা বিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা পোশাক পরিবর্তনের বিরোধিতায় রাস্তায় নামে। সোমবার সেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে জেলার শতাব্দী প্রাচীন স্কুলেও। প্রাথমিক শ্রেণির পড়ুয়াদের অভিভাবকরা কার্যত নীল-সাদা পোশাক হাতে নিয়ে তা স্কুলকে ফিরিয়ে দিতে চলে আসেন। অভিভাবক রাজেশ সাহা বলেন, ‘শতাব্দী প্রাচীন স্কুলের পোশাক কালো প্যান্ট আর সাদা জামা। এই পোশাক ঐতিহ্যের প্রতীক। আমরা তা পাল্টাতে চাই না।’ অন্য এক অভিভাবক পিন্টু মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের না জানিয়ে বৃহস্পতিবার নীল-সাদা পোশাক দেওয়া হয়েছে। এই সরকারি নির্দেশ আমরা মানতে পারছি না। তাই পোশাক ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

অভিভাবকদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান লক্ষ্যমোহন রায় বলেন, ‘স্কুলের তরফে আমাকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয় নি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’