জলপাইগুড়ি: বাঘের চামড়া,প্যাঙ্গোলিনের আঁশ সহ প্রাণী দেহাংশ পাচারের তালিকার সঙ্গে এবার যুক্ত হল ইয়াসু গুম্বা (শুয়ো পোকার ছত্রাক)। এই ছত্রাক আন্তর্জাতিক চোরা বাজারে কেজি প্রতি প্রায় ৩০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয় বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। মহা মূল্যবান এই ছত্রাক পাচার করতে গিয়েই এবার আমবাড়ি রেঞ্জের বন কর্মীদের হাতে গ্রেফতার দুই পাচারকারী।
বন দফতর সূত্রে খবর, বৈকণ্ঠপুর বনবিভাগের আম বাড়ি রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার আলমগীর হকের কাছে একটি গোপন সুত্র মারফৎ খবর আসে। তিনি জানতে পারেন, সিকিম থেকে শিলিগুড়ি হয়ে ভায়া নেপাল চিনে পাচার হবে প্রায় কিলো খানেক হিমালয়ান ভায়াগ্রা। এই বিপুল পরিমাণ ছত্রাক যা শিলিগুড়িতে নিয়ে এসে হাত বদল করা হবে।
খবর পেয়ে ক্রেতা সেজে টোপ দেন রেঞ্জ অফিসার আলমগীর হক। এরপর গতকাল রাতে সমর নগরে স্যাম্পেল নিয়ে আসে পাচারকারীরা। স্যাম্পেল দেখার অছিলায় বমাল গ্রেফতার হয় পাচারকারীদের।বন দফতর সূত্রে খবর, অভিযানের সময় আরও দুই পাচারকারী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা কোনও ভাবে পালিয়ে যায়। এদের সঙ্গে আরও প্রায় ৯৫০ গ্রাম ছত্রাক ছিল। একজনকে জেরা করে রাতেই আরও এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেন বন কর্মীরা। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। উদ্ধার হওয়া ওই ১৪ গ্রাম ছত্রাকের আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য প্রায় ৪২ হাজার টাকা। সিকিম পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহের পর এই ছত্রাক চিনে পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ধৃতদের শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হলে জামিন না মঞ্জুর করেছেন বিচারক। এদের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।
ইয়াসু গুম্বা কী?
জানা গিয়েছে, সিকিমের পাহাড়ি এলাকায় পাওয়া যায় এক ধরনের শুয়ো পোকা। যার গায়ে তৈরি হয় এই ছত্রাক। সেই ছত্রাক যৌন উত্তেজনা নেই ওষুধ তৈরির কাছে ব্যবহার করে থাকে চিনারা। যা হিমালয়ান ভায়াগ্রা নামেও পরিচিত।
রেঞ্জ অফিসার আলমগীর হক জানান, ধৃতদের একজনের বাড়ি নেপালে। আর একজন কালিম্পং এর বাসিন্দা। এদের কাছে আরও প্রায় ৯৫০ ছত্রাক রয়েছে। তা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে ।