Maynaguri: সোফায় গা এলিয়ে চিকিৎসক গিন্নি, হিলহিলে মাংসল কিছু বয়ে গেল পিঠ দিয়ে!

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Jun 05, 2022 | 11:57 PM

Snake Rescue: জামাইষষ্ঠীর দিন খোশ মেজাজেই ছিলেন। এমনই সময় পিঠে লাগল খোঁচা। তাঁর মনে, পিঠ দিয়ে মাংসল একটা কিছু হিলহিল করে বয়ে গেল।

Maynaguri: সোফায় গা এলিয়ে চিকিৎসক গিন্নি, হিলহিলে মাংসল কিছু বয়ে গেল পিঠ দিয়ে!
প্রতীকী ছবি

Follow Us

ময়নাগুড়ি: সোফায় বসে চা খাচ্ছিলেন এক পশু চিকিৎসকের স্ত্রী। জামাইষষ্ঠীর দিন খোশ মেজাজেই ছিলেন। এমনই সময় পিঠে লাগল খোঁচা। তাঁর মনে, পিঠ দিয়ে মাংসল একটা কিছু হিলহিল করে বয়ে গেল। পিঠে এ রকম ছোঁয়া পেয়ে আঁৎকে উঠলেন ওই মহিলা। তা দেখেই চিৎকার করে উঠলেন তিনি। লাফিয়ে উঠে পড়লেন সোফা থেকে। তার পর স্বামীকে দিলেন ডাক। স্ত্রীর কাছে বর্ণনা শুনে স্বামী তো অবাক। তিনি টর্চ জ্বেলে ভাল করে দেখতে লাগলেন সোফা। তা করতে গিয়েই বুঝলেন একটি সাপ ঢুকে বসে আছে সোফার ভিতর। বাড়ির দরজা আটকে তিনি খবর দিলেন পরিচিত এক পরিবেশকর্মীকে। সেই পরিবেশ কর্মী এসে সোফা কেটে বার করলে সাপটিকে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন ওই চিকিৎসক গিন্নি।

জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি বাশিলারডাঙা এলাকার বাসিন্দা নিশীথরঞ্জন দাস। পেশায় তিনি পশু চিকিৎসক। তাঁর ঘরে রয়েছে লাল রঙের সোফা। রবিবার বিকেলে সেই সোফায় বসে চা খাচ্ছিলেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী। সে সময়ই তাঁর স্ত্রী হঠাৎ তিনি অনুভব করেন পিঠের দিক দিয়ে খুব ঠান্ডা কিন্তু চলে যাচ্ছে। মাংসল কিছুর ছোঁয়া অনুভব করেন তিনি। এরপর সোফা থেকে লাফিয়ে উঠে পড়েন। তার পর ভালো করে লক্ষ্য করে তাঁরা দেখতে পান, একটি সাপ সোফার ভেতর থেকে উঁকি মারছে। সেই দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন তাঁরা। বুঝতে পারেন এই সাপটিই পিঠের উপর ওঠার চেষ্টা করছিল।

এর পর ওই চিকিৎসক পরিবার ঘর থেকে বেরিয়ে এসে দরজা বন্ধ করে দেন। খবর দেন ময়নাগুড়ি পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সম্পাদক নন্দু দাসকে। খবর পেয়ে নিজের দল নিয়ে চিকিৎসকের বাড়িতে ছুটে যান তিনি। তাঁদের প্রায় ৩০ মিনিটের চেষ্টায় সোফা কেটে সাপটিকে বার করা হয়।

এ নিয়ে ওই পশু চিকিৎসক বলেছেন, “আমার শখের সোফা যায় যাক। সাপ উদ্ধার হয়েছে এতেই শান্তি।“ উদ্ধারের পর নন্দুবাবু বলেছেন, “এটি একটি র‍্যাট স্নেক। নির্বিষ সাপ। সম্ভবত এই বাড়িতে ইঁদুর আছে। খাবার লোভে সাপটি বাড়িতে ঢুকেছে। এই সাপ পরিবেশে থাকা খুব জরুরি। একে এখন উপযুক্ত পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হবে।“

Next Article