জলপাইগুড়ি: দোকানের সামনে ডাঁই করে ফেলে রাখা কার্টুন, বাক্স। দোকানের সামনে এসে হাজির খোদ জেলাশাসক। এরপর জেলাশাসক সেই বাক্সগুলি নিজে হাতে তুলে তা দোকানিকেই দিয়ে দেন। বলেন, “আপনার আবর্জনা আপনার কাছেই রাখুন।” রাস্তা থেকে আবর্জনা তুলে এভাবে দোকানির হাতে তা তুলে দেওয়ায় খুশি এলাকার লোকজন। বলছেন, “উচিত শিক্ষা দিয়েছেন ম্যাডাম।” রবিবার একেবারে অন্যরূপে ধরা দিলেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক।
পুজোর মুখে জলপাইগুড়িতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ পার করে গিয়েছে। তারপরও সচেতনতার অভাব মানুষের মধ্যে। এদিকে এবার আবার পুজো মণ্ডপগুলিও ঘুরে দেখবেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা। রবিবার তাই ঝাঁটা হাতে রাস্তায় নামেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পারভিন। সঙ্গে ছিলেন পুলিশ সুপার উমেশ খাণ্ডওয়ালেও।
শহরের মার্চেন্ট রোড, ডিবিসি রোড, দিন বাজার এলাকায় এই সাফাই অভিযান চলে। যে সমস্ত দোকানের সামনে জঞ্জালের পাহাড় রাখা, মালিক ও কর্মীদের দিয়ে তা পরিষ্কার করান প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। যদিও এই বিশেষ অভিযান নিয়ে খোঁচা দিয়েছে বিরোধীরা।
কংগ্রেস কাউন্সিলর অম্লান মুন্সি বলেন, “এটা স্পেশাল ড্রাইভ ঠিক আছে। কিন্তু যদি জলপাইগুড়ি পুরসভা ঠিকমতো কাজ করত তবে তো আজ জেলাশাসককে ময়লা পরিষ্কারে হাত লাগাতে হত না। এসপিকে রাস্তা পরিষ্কার করতে হত না।” তবে পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল তা মানতে নারাজ। তিনি বলেন, “এটা শুধু জলপাইগুড়িই নয়, সারা রাজ্যে চলছে। সরকারি নির্দেশে এটা চলছে। গতকাল আমাদের একটা সার্কুলার এসেছে। সে কারণেই এই বিশেষ ড্রাইভ।”
অন্যদিকে জেলাশাসক শামা পারভিনের বক্তব্য, “আমাদেরও তো সজাগ হতে হবে। সবসময় যদি আমরা রাস্তাঘাটে ময়লা ফেলি কীভাবে চলবে? ইউনেস্কো বাংলার পুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিদেশ থেকে মানুষ আসবে পুজো দেখতে। তারা এসে কি এই নোংরা দেখবে? তাতে তো আমাদের সম্মানহানি। আর ডেঙ্গি পরিস্থিতিটাও তো ভুলে গেলে চলবে না।”