Court Order: নিরঞ্জন মণ্ডলকে ফাঁসির সাজা দিল আদালত
Court Order: আদালতের রায়ে স্বভাবতই খুশি স্বপন বর্মনের পরিবার। অন্যদিকে এই এত দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি হওয়ায় খুশি মামলার সঙ্গে জড়িত আইনজীবীরাও। যদিও নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অভিযুক্তের পরিবার।
জলপাইগুড়ি: তিলোত্তমা কাণ্ডে যখন অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে উঠছে জোরাল আওয়াজ ঠিক তখনই জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে অন্য এক কেসে শেষ হল ট্রায়াল। এক খুনের আসামীকে ফাঁসির আদেশ দিল আদালত। কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার রাগে প্রতিবেশী স্বপন বর্মনকে রাম দা দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল নিরঞ্জন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই মামলায় এক বছরের মধ্যে শুনানি শেষ করে অভিযুক্তের ফাঁসির আদেশ দিল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। এদিন এই রায় শুনিয়েছেন জেলা আদালতের অ্যাডিশনাল ফোর্থ কোর্টের বিচারক রিন্টু শূর। একইসঙ্গে মৃত ব্যক্তির শিশু কন্যা এবং স্ত্রীকে ৪ লক্ষ টাকা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের রায়ে স্বভাবতই খুশি স্বপন বর্মনের পরিবার। অন্যদিকে এই এত দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি হওয়ায় খুশি মামলার সঙ্গে জড়িত আইনজীবীরাও। যদিও নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অভিযুক্তের পরিবার।
২০২৩ সালের ৬ জুন। ওই দিনই শিলিগুড়ির আশিঘর এলাকায় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। স্বপন বর্মনের সঙ্গেই কাজ করতো অভিযুক্ত নিরঞ্জন মণ্ডল। দু’জনেই পেশায় মিস্ত্রি। কিন্তু, নিরঞ্জনের বিরুদ্ধে লাগাতার নানা ধরনের অসামাজিক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, সে কারণেই আর নিরঞ্জনকে কাজে নিতে চাননি স্বপন। আরও জানা যায় ঘটনার আগের দিন স্বপনের বাড়ি থেকে একটি রিক্সা চুরি হয়। নিরঞ্জনের দিকে যায় সন্দেহের তির। চুরির পরদিন সকালে আশিঘর মোর এলাকায় একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন স্বপন বর্মন। অভিযোগ, আচমকা ছুটে এসে রাম দা দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকে নিরঞ্জন। রক্তাক্ত অবস্থায় স্বপনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
ঘটনার পরেই নিরঞ্জনের নামে আশিঘর ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। গ্রেফতারও হয়। তারপর প্রায় এক বছর ধরে চলছিল মামলা। অবশেষে হল সাজা ঘোষণা। সরকার পক্ষের আইনজীবী প্রতিকলাল ঝাঁ জানাচ্ছেন, স্বপন বর্মনের বোন সরস্বতী দেবনাথের অভিযোগের ভিত্তিতেআশিঘর পুলিস আউট পোস্ট খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়। গত বছর জুলাই মাসের ২৫ তারিখে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এই মামলায় মোট ১৮ জনের স্বাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে ৫ জন একেবারে প্রত্যক্ষদর্শী।
আদালতের রায়ের খুশি মৃতার বোন লক্ষ্মী দাস। তিনি বলছেন, “আমার দাদাকে নৃশংস ভাবে খুন করেছিল ও। দাদার ছোট মেয়ে ও বউ রয়েছে বাড়িতে। অবশেষে ফাঁসির সাজা হল। আমরা খুব খুশি।” অন্যদিকে আসামী পক্ষের আইনজীবী ভানুসিংহ সরকার জানাচ্ছেন, এই রায়ে বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতের দারস্থ হতে চলেছেন।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)