জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ফের সদ্যোজাতের মৃত্যু (Child Death)। ফের ছড়াল উদ্বেগ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা দাস নামে ধূপগুড়ির এক মহিলা দিন ছ’য়েক আগে এক শিশু কন্যার জন্ম দিয়েছিলেন। জন্মের পরই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাকে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ‘সিক এন্ড নিওনেন্টাল কেয়ার ইউনিটে’ (SNCU) ভর্তি করে। সোমবার সেখানেই তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে সাম্প্রতিককালে রেকর্ড শিশুকে সদর হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছে বলেও তথ্য উঠে এসেছে।
জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের এসএনসিইউয়ে ফের এক পাঁচ দিনের সদ্যোজাত শিশু কন্যার মৃত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর, সেখানে মৃত্যুর কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে শ্বাসকষ্টের। ধূপগুড়ির বারোঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা দাস। গত ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি তাঁর সদ্যোজাত শিশু কন্যাকে নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সদ্যোজাতর শ্বাসকষ্ট বেশি থাকায় তাকে এসএনসিইউতে রেখে চিকিৎসা চলছিল। সোমবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
শিশুর বাবা সুরজিৎ দাস বলেন, “জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ধূপগুড়ি হাসপাতাল থেকে জলপাইগুড়িতে পাঠানো হয়েছিল। এখানে এনেও বাঁচাতে পারলাম না বাচ্চাকে।” অপরদিকে সোমবার দিনভরই একাধিক জ্বর আক্রান্ত শিশুকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের বহিবির্ভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকরা ভর্তি করানোরও পরামর্শ দেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার থেকে সোমবারের মধ্যে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ৩৯ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। পাশাপাশি ২৯ জন শিশুকে ছুটিও দেওয়া হয়েছে। শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় সাত শিশুকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বর্তমানে ১১৯ জন শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কেউ নেই। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সদর হাসপাতাল সূত্রে খবর, জেলা জুড়ে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। ফলে, কেবল সদর হাসপাতালেই রোগীর চাপ বেড়েছে এমনটা নয়, বেসরকারি হাসপাতালগুলিরও প্রায় একই অবস্থা। তবে সদর হাসপাতালে চাপ বেশি থাকায় হাসপাতালের শিশু বিভাগের একটি বেডে একসঙ্গে একাধিক শিশুকে রেখেও চিকিত্সা করতে হচ্ছে।
এ ভাবে হু হু করে জ্বর বাড়ায় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে সম্প্রতি বেড বাড়ানো হয়েছে। ৪০ টি বেড বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই সময় জলপাইগুড়ি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিজয় চন্দ্র বর্মন জানিয়েছিলেন, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের ভর্তি থাকা ৩ জন শিশুকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে আরও এক শিশুর দেহে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছিল।