ধূপগুড়ি: দীর্ঘদিন ধরেই দেখা মেলে না চিকিৎসকের। উল্টে নার্সরাই করছেন চিকিৎসা। দিচ্ছেন ওষুধ, দেখছেন রোগী। তবে সব রোগের ওষুধও যে মিলছে এমনটা নয়। এমনকী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেই পর্যাপ্ত কর্মীও। এমনই একগুচ্ছ অভিযোগ উঠে আসছে জলপাইগুড়ির দুরামারি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে। প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন রোগীর পরিজন থেকে থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোজকার দেখা মেলে না চিকিৎসকদের। সিংহভাগ সময় নার্সেরাই করেন চিকিৎসা। তাঁরাই দেন ওষুধ। তাঁরাই সবটার দেখভাল করেন। ওষুধেরও অভাব রয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, সমস্যার কথা স্বাস্থ্য দফতরের কানে পৌঁছালেও নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা। সে কারণেই বেড়েছে ক্ষোভ।
এক রোগী তো বলছেন, “এতদিন নার্সেরা ওষুধ দিতো। ডাক্তার তো নেই। এখন তো বলছে ওষুধও নেই।” শঙ্কর রায় নামে আর এক স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন, “আমি নানা জাগায়গা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। বিধায়ককেও জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি। কম্পাউন্ডারও নেই। নার্সরা ওষুধ দিচ্ছে। আজও ২৫ থেকে ৩০ জনকে ওষুধ দেওয়া হয়েছে দেখছি। যদি এখন কারও কোনও সমস্যা তৈরি হয় সেই দায়িত্ব কে নেবে? ডাক্তার তো ২ থেকে ৩ মাস থেকে আসছে না।”