Malbazar: বালি তোলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র মালবাজার

Jalpaiguri: অভিযোগ, সিরাজুল হক ও মফিজুল ইসলামের দলবল ওদলাবাড়ি চেল নদী থেকে বালি পাথর তুলে সেগুলি মজুত করছিল সুরেশ কেরকাট্টা নামে স্থানীয় বাসিন্দার দখলে থাকা জমিতে।

Malbazar: বালি তোলাকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র মালবাজার
বালি তোলা মজুতকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 09, 2022 | 3:28 PM

মালবাজার: মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরকালে ফের নদী থেকে বালি তোলা ও মজুত করাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। যার জেরে উত্তপ্ত হল মালবাজারের ওদলাবাড়ি এলাকা। গোটা ঘটনায় আহত দু’পক্ষের পাঁচজন, তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ভর্তি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বাকি দু’জনকে মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার দুপুর বেলা। অভিযোগ, সিরাজুল হক ও মফিজুল ইসলামের দলবল ওদলাবাড়ি চেল নদী থেকে বালি পাথর তুলে সেগুলি মজুত করছিল সুরেশ কেরকাট্টা নামে স্থানীয় বাসিন্দার দখলে থাকা জমিতে। এই দেখে সুরেশ কেরকাট্টা সিরাজুল হক ও মফিজুল হককে বাধা দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একে অপরের উপর লোহার রড, বাঁশ, নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয় পাঁচজন।

ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যায় মালবাজার থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে আসা হয় মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এলাকায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে। মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।

এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা যেখানে গাড়ি নিয়ে গিয়েছি সেখানে সুরেশ একাট্টা বলল এটা আমার জায়গা।এখানে বালি নামাতে দেব না। আমার জায়গা। কিন্তু এরপরও আমাদের লোকজনকে মারধর করা হল। লোহার রড, বাঁশ সব কিছু দিয়েই মারধর করছিল।’

বস্তুত, এদিকে কেঁচো নিয়ে জেলায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। খাবারে কেঁচো। সেই ঘটনা সামনে আসতেই হাসপাতালের খাবার মুখে তুলছিলেন না অনেকেই। খবর পেয়ে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে আসেন জলপাইগুড়ির সাংসদ ডাক্তার জয়ন্ত কুমার রায়। আস্থা ফেরাতে কথা বলেন রোগী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে। এদিন সাংসদের সাথে কথা বলে আশ্বস্ত হয়েছেন অনেকেই। হাসপাতালের খাবার নিতে রাজিও হয়ে যান তাঁরা। সাংসদ জানান, “খাবারে কেঁচো পাওয়ার পর থেকে অনেকেই হাসপাতালের খাবার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এই খবর জানতে পেরে আমি আজ হাসপাতালে আসি। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে উপযুক্ত তদন্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তির কথা জানিয়েছি। ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলাম। আসলে হাসপাতালে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে অত্যন্ত গরীব মানুষ আসেন। তাঁদের পক্ষে খাবার কিনে দেওয়াও যেমন কঠিন ব্যাপার, তেমনই বাড়ি থেকে নিয়মিত খাবার নিয়ে আসাও মুশকিল। আর এঁরা যদি হাসপাতালের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলে তবে তাঁরা আর কোথায় যাবে। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উচিত বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দেওয়া”।