জলপাইগুড়ি: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের প্রকাশ্যে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল। জলপাইগুড়ির বিভিন্ন জায়গা থেকে কোন্দলের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এবারের ঘটনাস্থলে শীতলকুচি। সেখানে অঞ্চল সভাপতি ঘোষণার পরেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে এসেছে। শুধু কোন্দল বলা ভুল। হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এমনকী পার্টি অফিসও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত দুই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে শীতলকুচি ব্লকের লালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিণকুচি বাজারে ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের লালবাজার অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানী ঘনিষ্ঠ ও লালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী হাইনুল মিঞার ঘনিষ্ঠদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। জানা যায় হরিণকুচি বাজারের এই দলীয় কার্যালয়টি নুর হোসেন ও বুলন মিঞা ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মীরা ব্যবহার করতেন। অঞ্চল কমিটি ঘোষণা হবার পর দলীয় কার্যালয়টি তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিন দলীয় কার্যালয় খোলার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা চেয়ারম্যান গিরিন্দ্র নাথ বর্মণ ও সংগঠনের ব্লক সভাপতি তপন কুমার গুহ সেখানে যান। তালা ভেঙে নতুন তালা লাগিয়ে কর্মীদের বসতে বলেন। দলের নেতারা ফিরতেই এদিন সন্ধ্যায় ফের কার্যালয়টি দখল নিয়ে সংঘর্ষ বাধে দুই পক্ষের মধ্যে।
অভিযোগ, ভাঙচুর করা হয় কার্যালয়ের চেয়ার টেবিল। এই ঘটনায় জিয়ারুল মিঞা নামে এক তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হয়। তাঁকে চিকিৎসার জন্য কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শীতলকুচি থানার পুলিশ।
এই বিষয়ে নুর হোসেন ও বুলন মিঞারা বলেন, ‘তালা ভেঙে ওরা ঘরে ঢুকেছে। পার্টি অফিসে তালা বন্ধ করা ছিল। টেবিল চেয়ার ভাঙচুর করাও হয়েছে।’ এদিকে, রাব্বানী ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, এখানে আমরা বসতাম। নতুন নাম ঘোষণার পরই দেখি পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।’