Chhath Puja: ছটপুজোকে কেন্দ্র করে নদীর ঘাটে হাতাহাতি তৃণমূল নেতার, থামাতে গিয়ে ধাক্কা খেল পুলিশও

ছট পুজোকে কেন্দ্র করে কুমলাই নদীর ঘাটে ঘটল সংঘর্ষের ঘটনা। মারপিটে জড়ালেন তৃণমূল জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক তথা ধূপগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রাজেশ কুমার সিং ও তাঁর অনুগামীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো ভাইরালও হয়েছে। এ নিয়ে নদী ঘাটে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

Chhath Puja: ছটপুজোকে কেন্দ্র করে নদীর ঘাটে হাতাহাতি তৃণমূল নেতার, থামাতে গিয়ে ধাক্কা খেল পুলিশও
ছট পুজোকে ঘিরে হাতাহাতি ধূপগুড়িImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2023 | 10:28 AM

ধূপগুড়ি: ধূপগুড়িতে ছট পুজোকে কেন্দ্র করে জমজমাট আয়োজন। ধূপগুড়ি পুর এলাকায় দুটি নদী ঘাটে ছট পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। কুমলাই নদী এবং বামনী নদীর ঘাটগুলি ছট পুজো উপলক্ষে সেজে উঠেছে। কিন্তু ছট পুজোকে কেন্দ্র করে কুমলাই নদীর ঘাটে ঘটল সংঘর্ষের ঘটনা। মারপিটে জড়ালেন তৃণমূল জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক তথা ধূপগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রাজেশ কুমার সিং ও তাঁর অনুগামীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো ভাইরালও হয়েছে। এ নিয়ে নদী ঘাটে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

খবর পেয়ে কুমলাই নদীর ঘাটে এসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা করে পুলিশ। তবে পুলিশের সামনেই মারধর করতে দেখা গিয়েছে ভাইরাল ভিডিয়োয়। তবে ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি৯ বাংলা।  তৃণমূল নেতা মারধরে জরিয়ে পরার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি।

এ বিষয়ে বিজেপি-র ধূপগুড়ির কনভেনার চন্দন দত্ত বলেন, “অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং লজ্জাজনক ঘটনা। যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে এটা কোনওভাবেই কাম্য নয়। ছট পুজো উপলক্ষে প্রচুর মানুষ সেখানে ভিড় জমিয়েছিলেন। পুলিশ মারপিট থামাতে গেলে তাঁদেরকেও ধাক্কা দিতে দেখা যায়। এই ধরনের গুন্ডামি কোন ভাবে বরদাস্ত করা যায় না। এই ধরনের আচরণ একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বারাই সম্ভব। আজকের ঘটনা থেকে আরও একবার পরিষ্কার তৃণমূল একটি অসভ্য দল। পুলিশের উচিৎ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”

ভিডিয়োয় যে পুলিশকর্মীকে ধাক্কাধাক্কি করতে দেখা যায়, তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে যান। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ আধিকারিককে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তাঁরা কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়েছিল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার সঙ্গেও। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক অরূপ দে বলেছেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।”