জলপাইগুড়ি: জেলায় করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী হলেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। এই পরিস্থিতিতে শহরকে জীবাণুমুক্ত রাখা ও কোভিড বিধিনিষেধ মানার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেই জীবাণুমুক্তর কাজ শুরু হল পুরসভা ভবন থেকেই। করোনাভাইরাসকে দূর করতে কার্যত কামন দাগল ধূপগুড়ি পুরসভা। তবে এই কামান স্যানিটাইজারের। জীবাণুমুক্তির অস্ত্র।
মঙ্গলবার ধূপগুড়ি শহরে স্যানিটাইজ কামান দেগেছে ধূপগুড়ি পুরসভা। শহরে যেভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে তাতে চিন্তিত প্রশাসন। রেড জোন ঘোষণার মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে শহরে। এই অবস্থায় করোনাকে আটকাতে ধূপগুড়ি গোটা শহরকে চটজলদি স্যানিটাইজ করতে শিলিগুড়ি থেকে আনা হয়েছে জীবাণুনাশক কামান। তাই দিয়ে চলছে জীবাণুমুক্তির কাজ।
ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং এই স্যানিটাইজার জল-কামান আনানোর জন্য আবেদন জানিয়ে ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের প্রশাসক গৌতম দেবকে। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে সোমবার স্যানিটাইজার কামান ধূপগুড়িতে পাঠিয়েছেন গৌতমবাবু।
সোমবার সেই মেশিন দিয়ে প্রথমে ধূপগুড়ি গার্লস কলেজে অবস্থিত অস্থায়ী সেফ হোম স্যানিটাইজ করা হয়। তারপর মঙ্গলবার ধূপগুড়ি শহরের পাড়ায়-পাড়ায়, অলি-গলি ঘুরে স্যানিটাইজার ছোড়া হচ্ছে কামান দিয়ে। মঙ্গলবার এই স্যানিটাইজার কামানের উদ্বোধন করেন রাজেশ কুমার সিং।
আরও পড়ুন: মালদার পর বহরমপুর, গঙ্গায় ভাসছে মৃতদেহ
ধূপগুড়ি পৌরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান জানান, শহরে যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে চিন্তিত আমরা। ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। সে কারণেই রেড জোন ঘোষণার মতো যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা আটকাতে ধূপগুড়ি শহরকে স্যানিটাইজ করা প্রয়োজন। তাই জীবাণুনাশক কামান এনে শহর স্যানিটাইজ করা হল। আগামী দিনেও শিলিগুড়ি থেকে এই জীবাণুনাশক কামান এনে প্রয়োজনীয় জায়গা স্যানিটাইজিং হবে।