জলপাইগুড়ি: অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের স্মৃতি এখনও কাটেনি। এরইমধ্যে জলপাইগুড়ির সেই অভিশপ্ত জায়গা রাঙাপানিতে আবারও ট্রেন দুর্ঘটনা। ফাঁসিদেওয়ার কাছে মালগাড়ির দুটি বগি লাইনচ্যুত। প্রশ্ন উঠছে, একই জায়গায় কীভাবে এত কম সময়ের ব্যবধানে ট্রেন দুর্ঘটনা?
জানা যাচ্ছে, যে এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার পাশেই রয়েছে নুমালিগঢ় রিফাইনারি লিমিটেড। এখান থেকে তেল নিয়েই উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়। মালগাড়ির রেক দীর্ঘদিন ধরেই যাতায়াত করে। এদিনও ফাঁকা রেক নিয়ে গাড়ি রিফাইনারিতে ঢুকছিল। সে সময়ে দুটো বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। বেশ কিছুটা দূরে এগিয়ে লাইন থেকে মালগাড়ির বগি সরে গিয়েছে। খবর পেয়েই দুর্ঘটনাস্থলে যান রেলের আধিকারিকরা। প্রাথমিকভাবে তাঁরা মনে করছেন, মালগাড়ির গতিবেগ বেশি ছিল, নয়তো লাইন রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা ছিল। রেসকিউ ট্রেন নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগিগুলোকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
১৭ জুন রাঙাপানিতেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। একটি মালগাড়ি গিয়ে ধাক্কা মারে ট্রেনের পিছনে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, মালগাড়ির গতিবেগ বেশি ছিল, চালক ঘুমিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন। মালগাড়ির চালকেরই দোষ বলে রেলও প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে জানিয়ে দেয়। যদিও পরে রেলের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট বলে, ওই এলাকায় সিগন্যালিংয়ের সমস্যা ছিল। তাতেই দুর্ঘটনা। তাতে প্রাণ যায় ১০জনের। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরে বেলাইন হয় হাওড়া-CSMT এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। বারবার ট্রেন দুর্ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে রেল।