TMC: প্রায় ৬ কোটি টাকার বিলিতি মদ উদ্ধারেও এবার তৃণমূল যোগ? ফুঁসছে বিজেপি

Nileswar Sanyal | Edited By: জয়দীপ দাস

May 26, 2024 | 12:53 PM

TMC: কয়েকদিন আগেই ময়নাগুড়ির রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েতের চ্যাংমারি গ্রামের নিরঞ্জন রায়ের বাড়ি থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকার জাল বিলিতি মদ উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্ত নিরঞ্জন রায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলে অভিযোগ বিজেপির।

TMC: প্রায় ৬ কোটি টাকার বিলিতি মদ উদ্ধারেও এবার তৃণমূল যোগ? ফুঁসছে বিজেপি
শোরগোল এলাকায়
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

জলপাইগুড়ি: সাম্প্রতিককালের মধ্যে উত্তরবঙ্গে পাওয়া গিয়েছে সবথেকে বড় জাল মদের কারখানা। এবার তা নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল নেতার বাড়িতেই রমরমিয়ে চলতো নকল বিলিতি মদের কারখানা। অভিযোগ বিজেপির। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল দোষ চাপালো আবগারি দফতরের ঘাড়ে। তৃণমূল নেতার দাবি, ময়নাগুড়ি থেকে আবগারি দপ্তরের অফিস সরিয়ে ধূপগুড়িতে নিয়ে যাওয়ায় নকল মদের রমরমা।

কয়েকদিন আগেই ময়নাগুড়ির রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েতের চ্যাংমারি গ্রামের নিরঞ্জন রায়ের বাড়ি থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকার জাল বিলিতি মদ উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্ত নিরঞ্জন রায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলে অভিযোগ বিজেপির। তা নিয়েই জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চাপানউতোর। 

আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরঞ্জন রায়ের স্ত্রী ICDS কর্মী। বেশ কয়েকমাস ধরে ওই বাড়িতে রমরমিয়ে চলছিল নকল বিলিতি মদ তৈরির কারখানা। পাশাপাশি ওই কারখানা থেকে বাংলা মদ তৈরি করা হতো বলেও জানতে পেরেছেন আবগারি দফতরের আধিকারিকেরা। এখানে জাল মদ তৈরি হচ্ছে সেই খবর কয়েকদিন আগে গোপন সূত্রে আসে আবগাড়ি দফতরের কাছে। চলে অভিযান। উদ্ধার হয়েছে ৬০০ কার্টুন বিলিতি মদ।  পাশাপাশি ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে মদ তৈরির স্পিরিট, ভ্যাট। মদ তৈরির পর বোতলজাত করার যন্ত্রপাতি। সব মিলিয়ে যা প্রায় ৬ কোটি টাকার বলে জানা যাচ্ছে। তবে বাড়ির সকলেই পলাতক। 

বিজেপির জেলা সম্পাদক চঞ্চল সরকার বলছেন, “তৃণমূলের আমলে রাজ্যে মদের রমরমা। একদিকে স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে পাড়ায় পাড়ায় মদের দোকান খুলে যাচ্ছে। অভিযুক্ত নিরঞ্জন রায় স্থানীয় তৃনমূল নেতা। তাই প্রশাসন সব কিছু জেনেও চুপচাপ ছিল।” বিজেপির অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃনমূলের ময়নাগুড়ি অঞ্চল সভাপতি তথা ময়নাগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায়। তিনি বলছেন, নিরঞ্জন রায় নামে কেউ তৃণমূল করতো বলে তাঁর জানা নেই। পাশাপাশি তার দাবি, ওই অঞ্চলে তাঁদের তুলনায় বিজেপি অনেক বেশী শক্তিশালী। তাই তাঁর দাবি বিজেপি নেতাদের সাথে যোগসাজশেই এই বেআইনি মদের কারখানা চলতো।

Next Article