TMC: তৃণমূল নেতার কুশপুতুল দাহ করল তৃণমূল কর্মীরাই, বেনজির দৃশ্য জলপাইগুড়িতে

Nileswar Sanyal | Edited By: জয়দীপ দাস

Nov 15, 2024 | 12:17 AM

TMC: প্রসঙ্গত, কালীপুজো উপলক্ষে সম্প্রতি করলা ভ্যালি চা বাগানে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন INTTUC এর জেলা সভাপতি তপন দে। অভিযোগ, ওই মঞ্চের পাশেই বসেছিল জুয়ার আসর। যত কাণ্ড সেখানেই।

TMC: তৃণমূল নেতার কুশপুতুল দাহ করল তৃণমূল কর্মীরাই, বেনজির দৃশ্য জলপাইগুড়িতে
চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে
Image Credit source: TV 9 Bangla

Follow Us

জলপাইগুড়ি: তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আদিবাসী আইন অনুয়ায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। এই দাবিকে সামনে রেখে অবরোঝ চলল জাতীয় সড়কে। অবরোধ করলেন তৃণমূল কর্মীরাই। পুড়ল তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাসের কুশপুতুল। আর পুরো কাণ্ড ঘটালেন তৃণমূলের INTTUC জেলা সভাপতি তপন দে-র অনুগামী নেতারা। তাত ঘিরেই শোরগোল জলপাইগুড়িতে। ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।  

প্রসঙ্গত, কালীপুজো উপলক্ষে সম্প্রতি করলা ভ্যালি চা বাগানে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন INTTUC এর জেলা সভাপতি তপন দে। অভিযোগ, ওই মঞ্চের পাশেই বসেছিল জুয়ার আসর। সেই ভিডিয়ো ফেসবুকে পোস্ট করে কটাক্ষ করেন তৃণমূল SC-OBC সেলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস। ওই ভিডিও ফেক বলে দাবি, করেন তৃণমূল নেতা তথা অরবিন্দ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান মহেশ রাউতিয়া। তিনি বলেন, “ফেক ভিডিয়ো আপলোড করে আদিবাসী সমাজকে অপমান করেছেন কৃষ্ণ দাস। তারই প্রতিবাদে এবং কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে আদিবাসী আইন অনুয়ায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে আমরা কুশপুতুল দাহ করে বিক্ষোভ দেখালাম। ৩১ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলাম। আমরা জস্টিস চাইছি।”

অপরদিকে তৃণমূল SC-OBC সেলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস বলেন, “আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। আদিবাসী ভাইবোন দের ভুল বুঝিয়ে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে উস্কে দেওয়া হচ্ছে। সেদিন মোটা টাকার বিনিময়ে চা বাগানে জুয়ার আসর বসিয়েছিল তৃণমূলের ভেকধারী কিছু স্থানীয় নেতা। জুয়ার আসরের বিষয়টি আমি নিজে পুলিশকে জানিয়েছি। আমি সাফ জানিয়ে দিচ্ছি চা বাগানের আদিবাসী মানুষকে অবৈধ মদ ও জুয়া খেলায় আসক্ত করে ওইসব তৃণমূল নেতারা বাড়ি গাড়ি বানিয়ে নিয়েছে। এটা আমি মেনে নেব না। আমি এর বিরুদ্ধে আগেও প্রতিবাদ করেছি। আবার করব। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব। আর কুশ পুতুল দাহ নিয়ে আমি আইনের আশ্রয় নেব।” 

তবে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, “তৃণমূল নেতারা উত্তরবঙ্গের পিছিয়ে পড়া জনজাতি গোষ্ঠীকে নিজের ভোট ব্যাঙ্ক ভেবে নিয়ে লাগাতার ব্যাবহার করছে। অন্যদিকে তাদের বেইমান বলে অপমান করছে। আমি এই সহজ সরল মানুষদের কাছে করজোড়ে আবেদন করছি আপনারা এইসব নেতাদের বয়কট করুন। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসুন। আমরাই  আপনাদের সমস্যা সমাধান করতে পারব।” 

Next Article