TMC Leader: ‘নেতা না বদলালে ছাব্বিশে জেতা অসম্ভব!’ বেজায় চটেছেন উত্তরের কেষ্টদা
TMC Leader: শনিবার বিকালে তৃণমূলের এসসি এসটি সেলের তরফে জেলা সভাপতির প্রস্তুতি সভার পাল্টা সভা ডাকেন কৃষ্ণ দাস। গোটা শহর থেকে হাজার দশেকের বেশি অনুগামী তাঁর সভায় যোগ দেন। মিছিল আসে শহরের নানা প্রান্ত থেকে।

জলপাইগুড়ি: বেজায় চটেছেন উত্তরের কেষ্টদা। একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা থেকে দলের জেলা নেতৃত্বের স্বচ্ছতা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূলের এসসি এসটি ওবিসি সেলের জলপাইগুড়ির সভাপতি কৃষ্ণ দাস। যিনি উত্তরের কেষ্ট মণ্ডল বলে বিরোধী রাজনৈতিক মহলে পরিচিত। তাঁর সাফ কথা, স্বচ্ছ নেতা ছাড়া ছাব্বিশের ভোটে জিততে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস। আর এখানেই বিরোধীরা গোষ্ঠী কোন্দলের গন্ধ পেতে শুরু করেছেন।
শনিবার বিকালে তৃণমূলের এসসি এসটি সেলের তরফে জেলা সভাপতির প্রস্তুতি সভার পাল্টা সভা ডাকেন কৃষ্ণ দাস। গোটা শহর থেকে হাজার দশেকের বেশি অনুগামী তাঁর সভায় যোগ দেন। মিছিল আসে শহরের নানা প্রান্ত থেকে। তবে তাঁর ডাকা সভায় তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের কেউ হাজির ছিলেন না। এতে রাজ্যের শাসকদলের অন্দরের কোন্দল প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে।
মঞ্চ থেকেই কৃষ্ণ দাস জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপের উদ্দেশ্যে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। বলেন, “ক্ষমতা থাকলে জেলা সভানেত্রী একটা সভা করুন। আমিও একটি সভা করব। কার সভায় কত লোক হল, তা প্রমাণ হয়ে যাবে।” খোঁচা দেন সদ্য দলের এক নেতা আর বিজেপি নেত্রীর সঙ্গে গাড়িতে মদ্যপানের প্রসঙ্গ নিয়ে। যে ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ওই নেতাকে শোকজও করা হয় দলের তরফে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও জেলা নেতৃত্বের উপর তোপের পর তোপ দাগতে থাকেন তিনি। বলেন, “যে নেতারা জনগণের সঙ্গে থাকবেন না তাঁরা ছিটকে যাবেন। আমি অপ্রিয় সত্যি কথা বলি দেখে আমাকে অনেকেই সহ্য করতে পারে না।” তিনি আরও বলেন, “কর্মীরা মার খাবে। আর নেতা রাতের বেলায় বিজেপি নেত্রীর সঙ্গে গাড়িতে বসে মদ্যপান করবেন। যদি এটাই হয় তবে তৃণমূলকে কেন ভোট দেবে মানুষ।” জেলার সর্ব স্তরে নেতা বদল না হলে ছাব্বিশের নির্বাচনে দল হারবে বলে বিস্ফোরক দাবি তাঁর। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া নিতে জেলা সভাপতি মহুয়া গোপের সঙ্গে বারবার টেলিফোনে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু ওনার ফোন বেজে গেলেও তিনি ফোন ধরেননি।
