ধূপগুড়ি: টিভি নাইন বাংলার খবরের জের। অবশেষে স্কুলে ভর্তি হল ছোট্ট রিয়া। জন্মের প্রমাণপত্র না থাকার কারণে স্কুলের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল ধূপগুড়ির ছোট্ট মেয়েটির। স্কুলের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাঁর জন্য। রাস্তার ধারে চায়ের দোকানে বসেই বই-খাতা খুলে পড়াশোনা করত। সেই খবর কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে টিভি নাইন বাংলায়। আর তারপরই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা দফতর। দ্রুত ওই খুদেকে স্কুলে ভর্তি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন।
স্কুল পরিদর্শক তাপস রায়ও ছুটে যান স্কুলে। কথা বলেন ধূপগুড়ির বিএফপি স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। ছোট্ট রিয়াকে স্কুলে ভর্তি নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো পদক্ষেপও করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের খাতায় আবার নাম তোলা হয় ছোট্ট রিয়ার। আর চায়ের দোকানে নয়, এবার থেকে ক্লাসরুমে বসেই পড়াশোনা করবে সে। স্কুলের পোশাক, খাতা-বই-কলম ইতিমধ্যেই স্কুল কর্তৃপক্ষের থেকে তাঁকে দেওয়া হয়েছে। আজ আর রাস্তার মোড়ের চায়ের দোকানে নয়, নতুন ইউনিফর্ম পরে বাকি সহপাঠীদের সঙ্গে ক্লাস করল ছোট্ট রিয়া। অনেক দিন পর আবার স্কুলে যেতে পেরে বেশ রিয়ার চোখে-মুখে খুশির ছাপ।
ধূপগুড়ির এই বিএফপি স্কুলেই আগে পড়াশোনা করত সে। কিন্তু জন্ম প্রমাণপত্র নিয়ে সমস্যার কারণে পোর্টালে তাঁর নাম তোলা যাচ্ছিল না। ফলে বন্ধ হতে বসেছিল স্কুলের দরজা। অবশেষে টিভি নাইন বাংলায় সেই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর আবার স্কুলে পা রাখল ছোট্ট মেয়েটি। বিএফপি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে সে।
রিয়া যখন খুব ছোট ছিল, তখনই তাঁর বাবা প্রয়াত হয়েছেন। বাবা চেয়েছিলেন পুত্র সন্তান। কিন্তু কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ায় সেই জন্ম শংসাপত্র রাগে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন তিনি। এদিকে রিয়ার মা শুধু জানেন, তাঁর মেয়ের জন্ম ২ আষাঢ়। ইংরেজির সাল, তারিখ তাঁর জানা নেই। আর এই কারণেই স্কুলের দরজা প্রায় বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল রিয়ার।