জলপাইগুড়ি: ‘করোনা (Corona) মোকাবিলায় রাজ্য সরকার চূড়ান্ত ব্যর্থ।’ কোভিড ম্যানেজমেন্ট (Covid Management) নিয়ে একরাশ অভিযোগ তুললেন বিজেপি সাংসদ (BJP MP) তথা চিকিৎসক জয়ন্ত কুমার রায় (Jayanta Kumar Roy)। অন্যদিকে তাঁর অভিযোগ ওড়ালেন আর এক ডাক্তারবাবু, সুশান্ত রায় (Sushanta Roy)। সোমবার করোনা চিকিৎসায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে দুই চিকিৎসকের বিতণ্ডায় কার্যত সরগরম চিকিৎসক মহল।
জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ ডাক্তার জয়ন্ত কুমার রায় বারবার অভিযোগ করে এসেছেন জলপাইগুড়ির সেফ হোমগুলিতে থাকা করোনা রোগীরা ঠিকঠাক পরিষেবা পাচ্ছেন না। গত রবিবার বিকেলে রাজগঞ্জ ব্লকের একটি সেফ হোম পরিদর্শন করেছেন তিনি। তবে সেখানে তেমন কিছু খামতি পাননি বলে নিজেই জানিয়েছেন। কিন্তু এরপর কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যের গাফিলতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যে যেই পরিমান টেস্ট হওয়া প্রয়োজন তার চেয়ে অনেক কম পরীক্ষা হচ্ছে। ফলে আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা জানা যাচ্ছে না। নাইসেড কেন্দ্রীয় সংস্থা বলে কোভিড স্যাম্পেল টেস্টের ক্ষেত্রে তাদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছেনা। প্রয়োজনের তুলনায় ভ্যাকসিন সেন্টার কম বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়। চিকিৎসক-সাংসদের দাবি, টিকাকরণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারেরই পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। কিন্তু নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে তারা দোষ চাপাচ্ছে কেন্দ্রের ওপর। এছাড়া হাসপাতালে শয্যার অভাব এবং করোনায় মৃতদের দেহ সৎকারের প্রক্রিয়া নিয়েও রাজ্য প্রশাসের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। আর এই অভিযোগের প্রত্যুত্তরে কার্যত বিজেপি সাংসদকে একহাত নিলেন চিকিৎসক সুশান্ত রায়।
উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডাক্তার সুশান্ত রায়ের কটাক্ষ, সেফ হোমে গিয়ে প্রশাসনের কোনও খুঁত খুঁজে না পেয়ে এখন অন্য প্রশ্ন তুলছেন সাংসদ। সাংসদ ও চিকিৎসককে তাঁর চ্যালেঞ্জ, “শুধু সেফ হোম নয়, কোভিড হাসপাতালও উনি পরিদর্শন করে আসুন। পরিষেবায় খামতি খুঁজে পাবেন না।”
সুশান্ত রায়ের কথায়, “উনি (জয়ন্ত রায়) একজন কমিউনিটি মেডিসিনের চিকিৎসক। তাই উনি নিজে এসে দেখুন রাজ্য সরকার কীভাবে পরিষেবা দিচ্ছে।” পাশাপাশি বিজেপি সাংসদের ভ্যাকসিনেশন সেন্টার নিয়ে করা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তাঁর খোঁচা, “আমরা ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য যথেষ্ট পরিকাঠামো তৈরি করে রেখেছি। কিন্তু ভ্যাকসিন না থাকলে দেব কোথা থেকে?” চিকিৎসক যোগ করেন, আমি নিজেই স্তম্ভিত দ্বিতীয় ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় ঘন ঘন পরিবর্তন করা নিয়ে।
আরও পড়ুন: ঘাটালে করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে পৌঁছবে খাবার, উদ্যোগ সাংসদ দেবের
এদিকে নাইসেডের স্যাম্পেল টেস্ট নিয়ে উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অফিসারের খোঁচা, “আমি ওনার নাম নিয়ে ব্যাক্তিগত ভাবে নাইসেড কর্তৃপক্ষর সঙ্গে যোগাযোগ করব।”