AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jalpaiguri: শ্বশুরবাড়ি গিয়ে আটকে গেলেন জামাই, পিছু ছাড়ল না ইঁদুর জ্বর

Jalpaiguri: সোজা কথায় আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে গোটা গ্রামেই। গ্রামের বাসিন্দা রুমা সরকার বলেন, “জন্ডিস ও জ্বরের ঠেলায় আমরা আতঙ্কিত। পানীয় জল নিয়ে এখন বেশি সমস্যা। প্রশাসন থেকে জল দিচ্ছে। কিন্তু কতদিন দেবে!”

Jalpaiguri: শ্বশুরবাড়ি গিয়ে আটকে গেলেন জামাই, পিছু ছাড়ল না ইঁদুর জ্বর
উদ্বেগ বাড়ছে গোটা গ্রামে Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2025 | 6:56 PM
Share

জলপাইগুড়ি: কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না লেপ্টোস্পাইরা ও জন্ডিসের ভয়। আতঙ্ক ক্রমেই জাঁকিয়ে বসছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের চেকর মারি গ্রামে। প্রতিদিন বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দেড়শ। এখানেই শ্বশুরবাড়ি শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের সাউথ একথিয়াশাল এলাকার বাসিন্দা বছর প্রশান্ত সূত্রধর (৩৫)। কিছুদিন আগে বাপের বাড়িতে এসেছিলেন স্ত্রী। সঙ্গে এসেছিল মেয়ে। কিন্তু কে জানত সেখানেই তাদের জন্য ওৎ পেতে বসে আসছে বিপদ। 

প্রশান্ত জানতে পারেন স্ত্রী ও মেয়ে দু’জনেই ইঁদুর জ্বরে আক্রান্ত। খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে শ্বশুরবাড়ি ছুটে আসেন। এখানে এসে তিনিও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যান। প্রশান্ত বলছেন, “আমি খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ি আসি। দেখি বাড়ির সকলে জ্বরে আক্রান্ত। আমিও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যাই। ক্যাম্পে ব্লাড টেস্ট হয়। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আমাকে ওষুধ দেন ডাক্তারবাবু। এখন সবাই হাসপাতালে। আমি এখন শ্বশুর বাড়ি পাহাড়া দিচ্ছি। গ্রামের ঘরে ঘরে একই অবস্থা। আমরা খুবই আতঙ্কিত।”

সোজা কথায় আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে গোটা গ্রামেই। গ্রামের বাসিন্দা রুমা সরকার বলেন, “জন্ডিস ও জ্বরের ঠেলায় আমরা আতঙ্কিত। পানীয় জল নিয়ে এখন বেশি সমস্যা। প্রশাসন থেকে জল দিচ্ছে। কিন্তু কতদিন দেবে!” মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার অসীম হালদার যদিও বারবার আতঙ্কিত না হওয়ার কথা বলছেন। তাঁর কথায়, “আতঙ্কিত হওার কারণ নেই। কারণ এর চিকিৎসা রয়েছে। আমরা হেলথ ক্যাম্প করছি। বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্য কর্মীরা যাচ্ছেন। এলাকায় থাকা জলের ট্যাঙ্কগুলি সাফাই করা হচ্ছে। তাই বাড়িতে পানীয় জল দেওয়া হচ্ছে। অন্য যায়গা থেকে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের ওই গ্রামে পাঠানো হয়েছে।”