জলপাইগুড়ি: পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল হাওয়া অফিস যে জেলায়-জেলায় বৃষ্টি হবে। আর সে কথাই সত্যি করে শুরু হল বৃষ্টিপাত। বুধবার সকাল থেকেই ইলশেগুড়ি বৃষ্টি হতে শুরু করেছে জেলায়। একে বৃষ্টি। তার উপর আবার বরফগলা হাওয়া। হিমশীতল এই আবহাওয়ায় আরও জুবুথুবু উত্তরবঙ্গের জেলা জলপাইগুড়ি।
আবহাওয়া দফতরের তরফে আগাম জানানো হয়েছিল ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গের কিছু জেলায় বৃষ্টিপাত ও তুষার পাতের সম্ভাবনার কথা। মঙ্গলবার দার্জিলিং ও সিকিমে নতুন করে তুষার পাত হয়েছিল। এরপর আজ সকাল থেকে জলপাইগুড়ি জেলায় শুরু হয়েছে ঈলশেগুঁড়ি বৃষ্টি। যার জেরে ভিজে গিয়েছে পথ ঘাট। এ দিকে, বৃষ্টি জেরে ব্যাপক ঠান্ডা পড়ায় তার প্রভাব পড়েছে জনজীবনেও। বেলা বাড়লেও সেই অর্থে দেখা মেলেনি স্থানীয় মানুষজনদের। রাস্তাঘাট কার্যত ফাঁকা। কেবলমাত্র চায়ের দোকান গুলিতে ভিড়।
সঞ্জয় সরকার নামে এক এলাকাবাসী জানান, “আজ কুয়াশা নেই। কিন্তু ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। ঘরে থেকে বের হতেই পারছি না। এবার দরকারে না বেরলেও চলে না। আরও বেশি ঠান্ডা লাগছে। রাস্তাঘাট একেবারে ফাঁকা। যাদের খুব প্রয়োজন তারাই বাইরে বের হচ্ছে।” বুধবার জলপাইগুড়ি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৭ শতাংশ। দৃশ্যমানতা ছিলো ৫০০ মিটার। বৃষ্টি হয়েছে।
তবে উত্তরের জেলায় কুয়াশার দাপট না থাকলেও রেহাই পায়নি পশ্চিম। কারণ, আজ সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকল বাঁকুড়া। ভোর থেকেই ঘন শহরের পুর্ব থেকে পশ্চিম মুড়ে রয়েছে কুশায়। ঘনত্ব এতটাই বেশি যে কয়েক ফুট দুরের বস্তুকেও ভাল করে দেখা যাচ্ছে না। দৃশ্যমানতা কম থাকায় প্রভাব পড়েছে ট্রেন চলাচল ও সড়ক পরিবহনে।
সকাল ৯ টা পর্যন্ত কার্যত রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করতে দেখা গিয়েছে যান বাহনকে। ট্রেন চলাচলও চলছে ধীর গতিতে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে আজ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির উপরে উঠলেও কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের প্রভাবে সকাল থেকেই কার্যত জবুথবু অবস্থা বাঁকুড়ার মানুষের।