জলপাইগুড়ি: চতুর্থ দফা ভোটে অগ্নিগর্ভ কোচবিহারের শীতলকুচি ও মাথাভাঙা। ভোটের দিন সাত সকালে পাঠানকুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১৮ বছরের এক বিজেপি কর্মীর। এরইমধ্যে আবার মাথাভাঙা ও শীতলকুচির মাঝামাঝি এলাকা জোরপাটকির একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় মৃত্যু হয় চারজনের। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। সেই শীতলকুচি নিয়ে তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP) কে কড়া আক্রমণ শানালেন সিপিএম নেত্রী (CPIM Leader) মিনাক্ষী মুখার্জী (Minakshi Mukherjee)। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল ও বিজেপি নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য একের পর এক মায়ের কোল খালি করছে।
শনিবার রাজগঞ্জ ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিনগরে আসেন নন্দীগ্রামের সযুক্ত মোর্চার প্রার্থী। এদিন রাজগঞ্জ বিধানসভার সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী রতন রায়ের সমর্থনে একটি জনসভার প্রধান বক্তা ছিলেন মীনাক্ষী। এদিন তিনি তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার, উভয়কেই তুলোধোনা করেন তিনি। তৃণমূল ও বিজেপিকে কার্যত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ বলে বর্ণনা করে উভয়ের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ করেন এই সিপিএম নেত্রী। তৃণমূল ও বিজেপি নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধিতে এতটাই মরিয়া যে একের পর এক মায়ের কোল খালি করতে এরা পিছপা হয়না বলে মন্তব্য করতে শোনা যায় মীনাক্ষী মুখার্জিকে।
তাঁর কথায়, “বিজেপি ও তৃণমূল দখলদারি করবার জন্য একটার পর একটা মায়ের কোল ফাকা করছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এদের কখনোই ক্ষমা করবে না। এর জবাব দেবে পশ্চিমবঙ্গবাসী।”
এদিকে অশান্তির ঘটনায় শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের মাথাভাঙা-১ ব্লকের ১২৬ নম্বর বুথে ভোট স্থগিতের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বিশেষ পর্যবেক্ষকদের রিপোর্ট হাতে পৌঁছতেই এই নির্দেশ আসে দিল্লি থেকে। শনিবারের ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট জানতে চেয়েছে কমিশন। বিকেল পাঁচটার মধ্যে সিইও আরিজ আফতাবকে সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।