জলপাইগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের আগে ফের আলাদা রাজ্যের দাবি তুলে ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে কামতাপুর লিবারাইরেশন অর্গানাইজেশন বা কেএলও। আলাদা কোচ-কামতাপুর রাজ্যের দাবি জানিয়ে ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন কেএলও প্রধান জীবন সিং। সেখানে বিজেপির তিন সাংসদ জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক, জয়ন্তকুমার রায়ের আলাদা রাজ্যের দাবিকেও সমর্থনের কথা শোনা গিয়েছে কেএলও প্রধানের গলায়। এবার পাল্টা জীবন সিংয়ের বক্তব্যকে সমর্থনের সুর জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ের গলাতেও। সাংসদের বক্তব্য, উত্তরবঙ্গের মানুষকে উত্তরবঙ্গের মানুষই শাসক করুক। আলাদা রাজ্যের দাবি এখানে প্রাসঙ্গিক। তাঁর মূল বক্তব্য, উত্তরবঙ্গের মানুষ শোষিত, সব দিক দিয়ে বঞ্চিত। তাই আলাদা রাজ্যের দাবি প্রাসঙ্গিক। তবে নতুন রাজ্য হলে তার নাম কামতাপুরের বদলে অন্য কিছু হলে আপত্তি নেই জয়ন্তকুমার রায়ের।
টিভি নাইন বাংলাকে জয়ন্তকুমার রায় বলেন, “উত্তরবঙ্গের মানুষ যে বঞ্চিত এ নিয়ে সংশয়ের কোনও অবকাশই নেই। বারবার জানানো হয়েছে। বিভিন্নভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকার এ কথা কানে তোলে না। উত্তরবঙ্গে একটা উত্তরকন্যা হয়েছে, মিনি সেক্রেটেরিয়েট হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেখানে কোনও সচিব নেই। একইভাবে স্বাস্থ্য সমস্যা এখানে একটা বড় সমস্যা। এখানকার মানুষকে চিকিৎসার জন্য দলে দলে যেতে হয় দক্ষিণবঙ্গে বা দেশের অন্যান্য প্রান্তে।”
সাংসদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে উত্তরবঙ্গের মানুষকে ভুগতে হয় প্রতি নিয়ত। চাহিদার তুলনায় পরিকাঠামো কম, তাই এই ভোগান্তি বলে সুর চড়ান জয়ন্তবাবু। তাঁর কথায়, “এখানে এইমস (AIIMS) হওয়ার কথা ছিল। উনি (মুখ্যমন্ত্রী) সেটাকে তুলে নিয়ে গেলেন কল্যাণীতে। যেখানে আশেপাশে অনেক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রয়েছে, যেখানে অনেক রকম চিকিৎসার ব্যবস্থাও রয়েছে। এখানকার মানুষের প্রতি যে অবহেলার নজর সকলেই জানেন। সেদিক থেকে বিচার করলে সেও (জীবন সিং) উত্তরবঙ্গের মানুষ, আমরাও উত্তরবঙ্গের মানুষ। আমরা তো বঞ্চিতই। আমার মনে হয় সকলেই এই দাবিটা সমর্থন করবে। সে কেএলও হোক, সে উত্তরবঙ্গের সাধারণ মানুষই হোক।”
জলপাইগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের আগে ফের আলাদা রাজ্যের দাবি তুলে ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে কামতাপুর লিবারাইরেশন অর্গানাইজেশন বা কেএলও। আলাদা কোচ-কামতাপুর রাজ্যের দাবি জানিয়ে ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন কেএলও প্রধান জীবন সিং। সেখানে বিজেপির তিন সাংসদ জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক, জয়ন্তকুমার রায়ের আলাদা রাজ্যের দাবিকেও সমর্থনের কথা শোনা গিয়েছে কেএলও প্রধানের গলায়। এবার পাল্টা জীবন সিংয়ের বক্তব্যকে সমর্থনের সুর জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ের গলাতেও। সাংসদের বক্তব্য, উত্তরবঙ্গের মানুষকে উত্তরবঙ্গের মানুষই শাসক করুক। আলাদা রাজ্যের দাবি এখানে প্রাসঙ্গিক। তাঁর মূল বক্তব্য, উত্তরবঙ্গের মানুষ শোষিত, সব দিক দিয়ে বঞ্চিত। তাই আলাদা রাজ্যের দাবি প্রাসঙ্গিক। তবে নতুন রাজ্য হলে তার নাম কামতাপুরের বদলে অন্য কিছু হলে আপত্তি নেই জয়ন্তকুমার রায়ের।
টিভি নাইন বাংলাকে জয়ন্তকুমার রায় বলেন, “উত্তরবঙ্গের মানুষ যে বঞ্চিত এ নিয়ে সংশয়ের কোনও অবকাশই নেই। বারবার জানানো হয়েছে। বিভিন্নভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকার এ কথা কানে তোলে না। উত্তরবঙ্গে একটা উত্তরকন্যা হয়েছে, মিনি সেক্রেটেরিয়েট হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেখানে কোনও সচিব নেই। একইভাবে স্বাস্থ্য সমস্যা এখানে একটা বড় সমস্যা। এখানকার মানুষকে চিকিৎসার জন্য দলে দলে যেতে হয় দক্ষিণবঙ্গে বা দেশের অন্যান্য প্রান্তে।”
সাংসদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে উত্তরবঙ্গের মানুষকে ভুগতে হয় প্রতি নিয়ত। চাহিদার তুলনায় পরিকাঠামো কম, তাই এই ভোগান্তি বলে সুর চড়ান জয়ন্তবাবু। তাঁর কথায়, “এখানে এইমস (AIIMS) হওয়ার কথা ছিল। উনি (মুখ্যমন্ত্রী) সেটাকে তুলে নিয়ে গেলেন কল্যাণীতে। যেখানে আশেপাশে অনেক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রয়েছে, যেখানে অনেক রকম চিকিৎসার ব্যবস্থাও রয়েছে। এখানকার মানুষের প্রতি যে অবহেলার নজর সকলেই জানেন। সেদিক থেকে বিচার করলে সেও (জীবন সিং) উত্তরবঙ্গের মানুষ, আমরাও উত্তরবঙ্গের মানুষ। আমরা তো বঞ্চিতই। আমার মনে হয় সকলেই এই দাবিটা সমর্থন করবে। সে কেএলও হোক, সে উত্তরবঙ্গের সাধারণ মানুষই হোক।”