Covid19: কলেজে কোভিড আক্রান্ত বাড়ছে, পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগে জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্ররা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 10, 2022 | 11:41 PM

Covid19: ছাত্রদের দাবি, একজন নন, কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন চার পাঁচজন। ইতিমধ্যেই চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজন আবার কলেজেই আইসোলেশনে রয়েছেন।

Covid19: কলেজে কোভিড আক্রান্ত বাড়ছে, পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগে জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্ররা
কোভিড নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক ছাত্র হঠাৎই জ্বরে পড়েন। সঙ্গে কাশি। অধ্যক্ষকে জানাতেই তিনি কোভিড পরীক্ষার পরামর্শ দেন। রিপোর্ট পজিটিভও আসে। তিনি হস্টেলে থাকেন। এদিকে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় হস্টেলের বাকি ছাত্রদের মধ্যেও। এদিকে ১৫ জুন থেকে পরীক্ষা শুরু। সূত্রের খবর, উদ্ভূত পরিস্থিতি খতিয়ে দিতে পিছিয়েও দেওয়া হতে পারে পরীক্ষা। যদিও অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, আরও ২-৩ দিন দেখে তারপরই ‘অ্যাকাডেমিক বডি’ কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হলে নেবে। ছাত্রদের দাবি, একজন নন, কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন চার পাঁচজন। ইতিমধ্যেই চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজন আবার কলেজেই আইসোলেশনে রয়েছেন।

আগামী ১৫ জুন থেকে কলেজে পরীক্ষা শুরু। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে বা পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে প্রয়োজনে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ অমিতাভ রায়। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় বর্ষের বয়েজ হস্টেলে করোনা ছড়িয়েছে। এই হস্টেলে প্রায় ২০০ আবাসিক রয়েছেন। ইতিমধ্যে কলেজে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। হোস্টেল স্যানিটাইজ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ অমিতাভ রায় বলেন, “পরশু দিন হঠাৎ একটি ছেলে আমাকে ফোনে জানাল জ্বর এসেছে। তার কাশি হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি বললাম এখনই আমাদের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যাও। পরীক্ষা করাও। তাতে দেখা গেল কোভিড পজিটিভ। ও অ্যান্টিজেন টেস্ট করিয়েছে। তারপর আরটিপিসিআর রিপোর্ট করাতে বলি। সেটা আমাদের হাতে এখনও এসে পৌঁছয়নি। এই ছেলেটির জন্য ওর দুই রুমমেটকে আইসোলেশনে পাঠিয়েছি। সেখানে হস্টেল থেকে খাবার, জল সবই পাঠানো হচ্ছে। যেহেতু কোভিড কেস, স্বভাবতই বাকিদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। ডেপুটি সিএমওএইচ ওয়ানের সঙ্গে কথা বলি। হোস্টেলে প্রায় ১৫০-২০০ ছেলে থাকে। আরও দিন দুই দেখে যা করার করা হবে।”

ইনফরমেশন টেকনোলজির ছাত্র স্বর্ণার্ক দাস বলেন, “বেশ কিছু সপ্তাহ জলপাইগুড়ি কোভিড শূন্য ছিল। দু’দিন আগে জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে কোভিড ধরা পড়েছে। সেটা আমাদের কলেজ হস্টেলে। দ্বিতীয় বর্ষের হস্টেল এটা। তারপর গত দু’দিনে আরও চার থেকে পাঁচ জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। দু’জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। আমরা চাই আমাদের সেফটি নিয়ে স্যররা কিছু করুন। বাড়ির লোকজন চাইছেন আমাদের বাড়িতে নিয়ে যেতে। এত ছেলে একসঙ্গে। এটা ভাবা দরকার।”

Next Article