Child Death: চোখের সামনে ধড়ফড় করতে করতে মরে গেল বাচ্চাটা, কান্নায় বুক ভাসছে মায়ের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 27, 2022 | 8:03 AM

Jalpaiguri: পরিবারের লোকেরা জানান, ওই চিকিৎসক এমনও বলেন, আগে দুর্ঘটনায় আহত রোগীকে দেখবেন, তারপর বাচ্চাটিকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায় ঋত্বিকা। এরপরই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতালচত্বরে।

Child Death: চোখের সামনে ধড়ফড় করতে করতে মরে গেল বাচ্চাটা, কান্নায় বুক ভাসছে মায়ের
কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

জলপাইগুড়ি (ধূপগুড়ি): ২৪ দিনের এক শিশুর মৃত্যুতে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলল পরিবার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায় ধূপগুড়ি হাসপাতালে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যেতে হয় ধূপগুড়ি থানার পুলিশকে। মৃত শিশুর নাম ঋত্বিকা রায়। জানা গিয়েছে, ওই সদ্যোজাতর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। সে কারণে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, শিশুটির অবস্থা খারাপ থাকায় তারা বারবার কর্তব্যরত চিকিৎসককে দেখার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ।

পরিবারের লোকেরা জানান, ওই চিকিৎসক এমনও বলেন, আগে দুর্ঘটনায় আহত রোগীকে দেখবেন, তারপর বাচ্চাটিকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায় ঋত্বিকা। এরপরই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতালচত্বরে। ক্ষোভে ফেটে পড়ে শিশুটির পরিবার। তাদের বক্তব্য, একটিবার শিশুটিকে ডাক্তার যদি দেখতেন, ছোট্ট প্রাণটা এভাবে ধড়ফড় করে শেষ হয়ে যেত না। মৃত বাচ্চাকে বুকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা।

ঋত্বিকার বাড়ি ময়নাগুড়ির মোয়ামারি গ্রামে। বাবা বিশ্বনাথ রায়, মা দীপালি রায়। কিছুদিন আগেই দিপালী তার ২৪ দিনের কন্যা সন্তানকে নিয়ে পূর্ব শালবাড়িতে বাপের বাড়িতে যান। সেখানেই সোমবার সন্ধ্যায় আচমকা শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তড়িঘড়ি শিশুটির দাদু দিলীপ রায় এবং মা দীপালি শিশুটিকে নিয়ে ধূপগুড়ি হাসপাতালে ছুটে আসেন। কিন্তু চিকিৎসকের গাফিলতিতে বাচ্চাটিকে বাঁচানো গেল না বলেই দাবি তাঁদের।

মৃত শিশুর দাদু দিলীপ রায়ের কথায়, “নাতনিটার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। আমরা ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক এই দুধের শিশুটাকে না দেখে অন্য রোগী দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বারবার আমরা হাতে পায়ে ধরলাম শুনলেন না। উল্টে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এরপর কোলেই বাচ্চাটা শেষ হয়ে গেল।”

হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা এক রোগীর আত্মীয় ওসমান আলির অভিযোগ, বাচ্চাটাকে যখন বাড়ির লোকেরা আনল তখন তো বেঁচেই ছিল। ডাক্তারকে ওনারা কত করে বললেন একটি বার দেখে দিতে। ডাক্তার শুনলেন না। কিছুক্ষণ পরই দেখলাম বাচ্চাটা মারা গেল। মনে হয় ঠিক সময় একটু চিকিৎসক পেলে ওকে বাঁচানো যেত। যদিও হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি, যে সময় বাচ্চাটিতে হাসপাতালে আনা হয় এমার্জেন্সিতে তখন খুবই ভিড়। দুর্ঘটনায় আহত এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে দেখছিলেন। এরপরই শিশুটিকে দেখতে যান। কিন্তু ততক্ষণে শিশুটি মারা গেছে।

Next Article