জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে গত বেশ কয়েক মাস ধরেই অমিল কিডনির রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় ইনজেকশন এরিথ্রপয়েটিন (Erythropoietin)। চরম সমস্যায় পড়েছেন ডায়ালেসিস নেন যে সমস্ত রোগীরা। কিডনির সমস্যার জন্য যে সমস্ত রোগীর ডায়ালেসিস করতেই হয়, তাঁদের শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়াতে সপ্তাহে অন্তত দু’বার এরিথ্রপয়েটিন ইনজেকশন নিতে হয়। এই ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখা হয়। অভিযোগ, পুজোর পর থেকেই জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ডায়ালেসিস ইউনিটে ইনজেকশনটি পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে এর দামও অনেক। ফলে বাইরে থেকে কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন রোগীরা।
সূত্রের খবর, যাঁরা জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে এই ওষুধ সরবরাহ করে, তাদের বেশ কিছু টাকা বকেয়া রয়েছে। সে কারণেই ওই ওষুধ তারা সরবরাহ করতে পারছে না। যদিও স্বাস্থ্যকর্তারা এই অভিযোগ মানতে নারাজ। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, “গত কয়েক মাস ধরে এরিথ্রপয়েটিন ইনজেকশনের সরবরাহ নেই। শুনেছি কিছু বকেয়া ছিল। তবে বকেয়া থাকার জন্য ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই। খবর পেয়েছি খুব তাড়াতাড়ি স্টক আসবে। স্টক এলে আবার স্বাভাবিক ভাবে ইনজেকশন সরবরাহ করা হবে।”
জলপাইগুড়ি সরকার পাড়া থেকে আসেন দেবাশিস দাস। তাঁর স্ত্রী গত আট বছর ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। চার বছর হল স্ত্রীকে ডায়ালেসিস করাতে হচ্ছে। এই ইনজেকশন না পেয়ে ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালাতে কপালে ঘাম ছুটেছে তাঁর। দেবাশিসবাবুর স্ত্রী লক্ষ্মী দাস জানান, ডায়ালেসিস না করিয়ে উপায় নেই। কিন্তু হিমোগ্লোবিনও কমে যাচ্ছে। সেই হিমোগ্লোবিন বাড়াতে ইনজেকশন কিনতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা পরিবারের।
আরও পড়ুন: Jhargram Case: বন্ধ স্কুল ঘরে মেয়েকে দেখে চেঁচিয়ে উঠলেন মা, ‘অপরাধ’ বুঝে কেঁদে ভাসালেন তিন শিক্ষিকা
আরও পড়ুন: Anarul Arrested on Bagtui Massacre: কে আনারুল হোসেন? কেন তড়িঘড়ি গ্রেফতার করালেন মমতা?