জলপাইগুড়ি (মেটেলি): স্কুল খোলার নির্ধারিত সময় পার করে গেলেও খোলেনি গেট। সেই রাগে স্কুলের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিভাবকরা। ছোট্ট ছোট্ট ছেলে মেয়েদের নিয়ে সময় মতো স্কুলের দরজায় হাজির হলেও গেট না খোলায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্কুলচত্বর। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে মেটেলি ব্লকের চালসা জুনিয়র বেসিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এক শিক্ষক জানান, রোজই সময়মতো স্কুল খোলা হয়। তবে এদিন দুই শিক্ষিকা আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মেটেলি ব্লকের চালসা জুনিয়র বেসিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। অভিযোগ, এদিন সকাল ১১টা ১৫ পার করে গেলেও খোলা হয়নি স্কুলের গেটের তালা। স্কুল বন্ধ থাকায় ছোট ছোট পড়ুয়ারা রোদের মধ্যেই এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে বেড়াচ্ছিল। এরপরই বেশ কয়েকজন অভিভাবক সরব হন। যে সব বাচ্চারা স্কুলে একাই আসে, তাদের কারও মা, কারও বাবা এসে হাজির হন স্কুলের সামনে। শুরু হয় হইচই। অভিযোগ, দিনের পর দিন একই জিনিস চলছে। তাঁদের দাবি, রীতিমতো শিক্ষায় অরাজকতা শুরু হয়েছে।
এদিন ১১টা ২০ নাগাদ এক শিক্ষক এসে স্কুলের দরজার তালা খোলেন। তারপর বাচ্চারা ক্লাসরুমে ঢোকে। বিক্ষোভকারীরা জানান, স্কুলে পাঁচজন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন। এদিকে পড়ুয়া শতাধিক। অভিভাবকরা জানান, প্রায় প্রায়ই দেরী করে স্কুলে আসেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। সময়ের আগেই স্কুল ছুটিও হয়ে যায় এক একদিন। এদিকে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, সকাল ১০টা ৫০-এ স্কুলের প্রার্থনা শুরু হওয়ার কথা। অথচ সে সময় পার করে আরও কিছুটা সময়ের পর খোলা হচ্ছে স্কুল। শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভূমিকা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তোলেন পড়ুয়াদের বাড়ির লোকজন।
এক অভিভাবক বলেন, “আমি ১০টা থেকে এসে বাচ্চা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আজকে বলে না, কোনওদিনই সময়মতো স্কুল খোলা হয় না। বাড়ির কাজকর্ম ফেলে বাচ্চা নিয়ে স্কুলে আসি। এসে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দীর্ঘক্ষণ। তাও ফোন করে স্যরকে আনা হল। ছোট ছোট বাচ্চাগুলো স্কুলে আসে। এসে মারামারি করে। ছোটাছুটি করে। সকলের তো মা, বাবা আসেন না। কোনও একটা বিপদ হয়ে গেলে।”
এদিন ১১টা ২০ নাগাদ স্কুলে ঢুকতে দেখা যায় সৌমেন সরকার নামে এক শিক্ষককে। এরপরই তাঁকে দেখে চিৎকার শুরু করেন অভিভাবকরা। সৌমেন সরকার বলেন, “স্কুল খোলা হয় দেরী, এই অভিযোগ ঠিক না। আজ দেরী হয়েছে। তিনজন দিদিমণির মধ্যে দু’জন অসুস্থ হয়ে বাড়িতে। আমি নিজেও অসুস্থ। আর আমি মিড ডে মিলের জিনিসপত্র কিনতে গিয়েছিলাম। সে কারণে একটু ঢুকতে দেরী হয়েছিল। বলেওছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত বিষয়টা এরকম হয়ে গেছে। দুই শিক্ষিকা যে অসুস্থ সেটা আমি জানতে পারিনি। জানলে আমি হয়ত কাজ পরে করে আগে স্কুলে চলে আসতাম।”
আরও পড়ুন: 19,867.8 MHz স্পেকট্রাম অধিগ্রহণ করে ভারতীয়দের জন্য 5G বিপ্লব ঘটাতে চলেছে এয়ারটেল