জলপাইগুড়ি: পাড়ার মদের দোকানে দিনরাত ভিড়। ছেলে বুড়োরা যেন দোকান ছাড়তেই চান না। এর জেরে পরিবারে বাড়ছে অশান্তি। এবার তারই প্রতিবাদে পথে নামলেন মহিলারা। দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। শনিবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ময়নাগুড়ি খাগড়াবাড়ি ১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় শোরগোল শুরু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গোয়ালপাড়া এলাকায় একটি মদের দোকান চলে। পাড়ার মধ্যে এই দোকান হওয়ায় প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল মহিলাদের। এ নিয়ে দোকানদারকে লিখিতও দেন তাঁরা বলে দাবি। কিন্তু সেসবে কর্ণপাত করেননি দোকানি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, জাতীয় সড়কের ধারে কয়েক বছর আগে কিছু ব্যবসায়ী একটি হোটেল কাম রেস্তোরাঁ এবং বার খোলার চেষ্টা করেছিলেন। স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখিয়ে তা বন্ধ করে দেন। সম্প্রতি সেখানে আবার মদের দোকান খোলা হয়। এরপরই শনিবার বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় মহিলারা।
তাদের অভিযোগ, এলাকায় এভাবে মদের দোকান খোলা হলে যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাবে। সমাজের শান্তি বিঘ্নিত হবে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা কালিপদ চক্রবর্তী বলেন, “এই এলাকায় এর আগেও একটি বার খোলার চেষ্টা করেছেন কয়েকজন মানুষ। সেই সময় আমরা বাধা দিয়ে তা বন্ধ করে দিয়েছি। পরবর্তীতে তারা আবার তা খোলার চেষ্টা করছে বলে জানতে পারি। তাই আমরা বিক্ষোভে সামিল হয়েছি।”
অন্যদিকে এলাকারই মহিলা কলি রায়ের কথায়, “এখানে ভাটিখানা খোলা হচ্ছে। অনেকদিন আগে আমরা গণসাক্ষর করে স্মারকলিপি জমা দিই। কিন্তু আমাদের কথা শোনা হয়নি। এভাবে আমাদের এলাকার পরিবেশটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা কিছুতেই মানব না এটা। বাড়ির ছোট ছোট ছেলে। তারা পর্যন্ত এখানকার নিয়মিত খরিদ্দার হয়ে উঠছে। বাড়িতে ঝামেলা করছে। আমরা এখানে কোনওভাবেই ভাটিখানা খুলতে দেব না। আমাদেরও সমাজ সংসার আছে। এরপর আমরা বিডিওর কাছে যাব। আমাদের কথা শুনতেই হবে। এই দোকানের শাটার আমরা আর খুলতে দেব না। দরকার হলে আরও লোক আসব। পাড়ার মধ্যে এমন চলে নাকি? পাড়ায় ভাটিখানা চলবে না।” ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম বসুনিয়া বলেন, “এরা ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। খোঁজ নেব।”