Moynaguri: দেখেই চলেছে চকচকে চোখ, লিকলিকে জিভ নাড়ছে নাগাড়ে, বেগুন ক্ষেতে গিয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা…

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

May 22, 2022 | 7:29 PM

Jalpaiguri: ঝাঁকায় বেশ কয়েকটি বেগুন তোলাও হয়ে গিয়েছে। আচমকাই তাঁর চোখ যায় লাউয়ের মাচার দিকে।

Moynaguri: দেখেই চলেছে চকচকে চোখ, লিকলিকে জিভ নাড়ছে নাগাড়ে, বেগুন ক্ষেতে গিয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা...
পরিবেশকর্মী নন্দু রায়। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

জলপাইগুড়ি: বেগুন ক্ষেতে কাজ করছিলেন ময়নাগুড়ির রাখাল রায়। আচমকা চোখ ঘোরাতেই শরীরে বয়ে গেল হিমস্রোত। চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। এ যেন উঁকি মারছে সাক্ষাৎ যমদূত। হলুদ-কালো তেলতেলে গা ফুঁসছে, চোখও যেন ঠিকরে আসছে, প্রায় ১৩ ফুট লম্বা হিলহিলে চেহারা। চিৎকার শুনে ছুটে এলেন আশপাশের লোকেরা। বিরাট এই কিংকোবরা রবিবার দিনভর আলোচনায় রইল এলাকায়। ময়নাগুড়ির রামশাই এলাকার বাসিন্দা রাখাল রায়। পেশায় তিনি একজন কৃষক। রামশাই কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় তাঁর আবাদি জমি রয়েছে। সেখানে তিনি চাষ করেন। নানারকমের সবজি ফলান। সেখানেই বেগুন চাষ করেছেন। নিয়মিত ক্ষেতের পরিচর্যা করেন তিনি। কিন্তু এমন অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি। প্রত্যেক রবিবার দুপুরের পর হাট বসে ডুয়ার্স এলাকায়। সেই হাটে বিভিন্ন জায়গা থেকে কৃষকরা আসেন। মূলত, নিজেদের ফলানো ফসলের পসরা নিয়েই হাজির হন তাঁরা। রামশাইয়ের রাখাল রায়ও যান। এদিন সেই হাটে যাবেন বলেই বেগুন তুলতে গিয়েছিলেন ক্ষেতে।

ঝাঁকায় বেশ কয়েকটি বেগুন তোলাও হয়ে গিয়েছে। আচমকাই তাঁর চোখ যায় লাউয়ের মাচার দিকে। দেখেন কুণ্ডলী পাকিয়ে ফণা তুলে দাঁড়িয়ে মূর্তিমান লিকলিকে জিভ নাড়ছে। চাষের কাজ করেন, তাই চিনতে মোটে সময় লাগেনি। বিষধর কিংকোবরাটিকে দেখে বেগুন ফেলে দৌড় লাগান তিনি। এরপরই খবর দেন রামশাই রেঞ্জ অফিসে। রামশাই রেঞ্জ অফিস থেকে খবর দেওয়া হয় ময়নাগুড়ি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সম্পাদক নন্দু রায়কে। তিনি দলবল নিয়ে হাজির নয় এলাকায়। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধার হয় বিষধর ওই সাপটি।

পরিবেশ কর্মী নন্দু রায় বলেন, “রাখালবাবুর বেগুন ক্ষেত থেকে একটা কিংকোবরা উদ্ধার হল। বেগুন ছিঁড়তে গিয়ে ওই বিষধর সাপটি নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে বনদফতরকে খবর দেওয়া হয়। রামশাই রেঞ্জ থেকে আমাদের কাছে খবর দেওয়া হয়। আমরা টিম নিয়ে গিয়ে উদ্ধার করি। সাড়ে ১২ থেকে ১৩ ফুট লম্বা হবে সাপটি।” নন্দু রায় জানান, কিংকোবরাটি সুস্থই ছিল। তাকে গরুমারার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই পরিবেশ কর্মী জানান, এই সময়টা সাধারণত সাপেরা বেরিয়ে আসে। তাঁর কথায়, “হতে পারে খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে এসেছিল সাপটি। তাছাড়া এই সময়টা প্রজননের সময়। এ সময় লোকালয়ে সাপ বেরিয়ে আসে। মানুষকে একটু সচেতন থাকতে হবে। ওদের এখন আনাচে কানাচে দেখা যাবে। তাই মানুষের সচেতন থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।”

Next Article