জলপাইগুড়ি: ২০০৬ সালের পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যালেট পেপারের পিছনে প্রিসাইডিং অফিসারের সই ও স্ট্যাম্প থাকা দরকার। গতকাল সেই কথা আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, ব্য়ালটের পিছনে প্রিসাইডিং অফিসারের সই না থাকলে, তা বৈধ ভোট বলে গণ্য হবে না। কিন্তু তারপরও আজব ‘আবদার’ তৃণমূল নেতার। বাতিল হওয়া ব্যালট পেপার বৈধ করার দাবি তুললেন শাসক দলের নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ডিসিআরসি সেন্টারে। ডিসিআরসি সেন্টারের ভিতরে ঢুকে বিডিও-র সঙ্গে দেখা করার দাবিতে তুলকালাম কাণ্ড বাধালেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার এসসি-এসটি সেলের সভাপতি কৃষ্ণ দাস।
ওই এলাকায় ব্যালট পেপারে প্রিসাইডিং অফিসারের সই না থাকায় ১৪৭টি ব্য়ালট পেপার বাতিল হয়ে গিয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। তাদের বক্তব্য, এর ফলে একটি বুথে তিন ভোটে হেরে গিয়েছে শাসক দলের প্রার্থী। এমন অবস্থায় ওই বুথে পুনরায় গণনা করাতে হবে, সেই দাবি তুলে হইচই বাঁধিয়ে দিলেন তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস। পুনরায় গণনার দাবি নিয়ে আজ ডিসিআরসিতে গিয়ে বিডিও-র সঙ্গে কথা বলতে চাইছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্বে থাকা জওয়ানরা তাঁকে আটকে দেন। আর তাতেই শুরু হয় হুলুস্থূল কাণ্ড। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কৃষ্ণ দাস ও তাঁর অনুগামীরা। কথা বলতে দেওয়া না হলে, পথ অবরোধের হুঁশিয়ারিও দেন। শেষ পর্যন্ত বিডিও অফিসের প্রতিনিধিরা এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। পুনরায় গণনার দাবিতে একটি আবেদনপত্র তাঁদের হাতে তুলে দেন তৃণমূল নেতা।
উল্লেখ্য, গতকালই একটি অভিযোগ উঠেছিল জলপাইগুড়ি জেলা থেকে। বলা হচ্ছিল, ট্রেনিংয়ের সময়ে নাকি বোঝানো হয়েছে, প্রিসাইডিং অফিসারের সই না থাকলেও চলবে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতার মুখেও এই ধরনের অভিযোগের কথা শোনা গিয়েছিল। যদিও গতকাল জলপাইগুড়ির বিধায়ক জানিয়েছিলেন, এই বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও অভিযোগ তখনও আসেনি।