জলপাইগুড়ি: সঙ্গ দেয়নি দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরবঙ্গেও মুখ থুবড়ে পড়েছে পদ্ম শিবির। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে পদ্ম শিবিরের অন্দরেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) পর এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়েও সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন অনেকে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ির পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুরেও ফল বিশেষ ভাল হয়নি বিজেপির (BJP)। চা বলয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে পদ্ম শিবির। খোদ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার নিজের বসতবাড়ি এলাকা লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের প্রত্যেকটা গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনেই জিতে গিয়েছে তৃণমূল। যা নিয়েও এখন জোর চর্চা চলছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
তবে ভোটে আশানুরূপ ফল না হওয়ার জন্য এলাকার বিডিও এবং পুলিশ-প্রশাসনকেই দুষতে দেখা গেল জন বার্লাকে। তাঁর দাবি, সাধারণ মানুষ বিজেপিকেই আশীর্বাদ করেছিল। কিন্তু, তাঁদের রায় স্ট্রং রুমে ঢোকার পরেই বদলে গিয়েছে। তিনি বলছেন, সামসি থেকে কুমারগ্রাম পর্যন্ত চা বাগান অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপি জেতার কথা। কিন্তু, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে যা ভোটদান হয়েছে তার থেকে বেশি ব্যালট বের হচ্ছে। যেখানে হাজার ভোট পড়েছে সেখান থেকে দেড় হাজারের বেশি ব্যালট পেপার বের হচ্ছে। ব্যালটে ব্যাপক কারচুপি চলেছে। চব্বিশের লোকসভা ভোটেই মানুষ প্রমাণ করে দেবে তারা কার পক্ষে রয়েছে।
অন্যদিকে তৃণমূলের ফল ভাল হওয়ায় খুশি তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এটা আমাদের কাছে সেমিফাইনাল ছিল। চব্বিশের লোকসভা ভোট আমাদের কাছে ফাইনাল। সেখানেও আমরা বিজেপিকে হারাব। কোনও মানুষকে সাময়িকভাবে ভুল বোঝানো যায়। কিন্তু, তা চিরস্থায়ী হয় না। চা বলয়ের মানুষ আজ উপলব্ধি করতে পেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের জন্য কাজ করেছেন। তারই প্রতিফলন ভোটের ফলে পড়েছে।”