জলপাইগুড়ি: এ কী কাণ্ড! মৃত মানুষের খুলি আর সর্ষে দানা নিয়ে বাড়িতে-বাড়িতে যাচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী। চাইছেন ভোট। তৃণমূল অভিযোগ করছে, বশীকরণ বা তুকতাক করে ভোট হাতাতে চাইছেন। একই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মানুষজনও। তাঁরা বলছেন ওই প্রার্থী চলে যাওয়ার পর নাকি বাড়ির পাশে পড়ে রয়েছে সর্ষে দানা। ঘটনায় কমিশনের দ্বারস্থ শাসকদল।
পঞ্চায়েত,বিধানসভা কিংবা লোকসভা। প্রতিবার ভোট এলেই সন্ত্রাস, মনোনয়ন দাখিলে বাধা,কিংবা হুমকি সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে কমিশনের দারস্থ হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। কিন্তু তাই বলে তুকতাক করে ভোট নেওয়ার অভিযোগ? সম্ভবত এই রাজ্যে বেনজির। এবার পঞ্চায়েত ভোটে ঠিক এই জাতীয় অভিযোগ তুলে কমিশনের দারস্থ হয়েছেন রাজগঞ্জ ব্লকের এক তৃণমূল প্রার্থী। ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জ ব্লকের হরিচরণ ভিটা গ্রামে বুধবার বিকেলে প্রচার গিয়েছিলেন বিদায়ী পঞ্চায়েত তথা এবার প্রার্থী সন্তোষ রায়। এলাকাবাসীর পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, ভোট প্রচারের সময় নাকি মৃত মানুষের খুলি সঙ্গে নিয়ে ঘুরেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সর্ষে ছিটিয়ে দিয়েছেন। এরপরই এলাকাবাসী ওই বিজেপি প্রার্থীকে আটকে রাখেন। তারপর খবর দেওয়া হয় থানায়। আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ এলে সর্ষে দানাগুলি দেখান তাঁরা। এরপর রাত্রিবেলাই লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়।
স্থানীয় টুম্পা রায়, “প্রতিমা রায় অভিযোগ করে বলেন বিজেপি প্রার্থী প্রচার করতে আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। উনি চলে যাওয়ার পর আমরা আমাদের দুয়ারে সর্ষে দানা পড়ে থাকতে দেখি। এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত।” যদিও, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সন্তোষবাবু বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। এদিন আমি যাওয়ার আগে ওই বাড়ি গুলিতে তৃণমূল প্রার্থী গিয়েছিল। এইসব ওরাই করেছে। আসলে এর আগেও তৃণমূল আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আমার মনোনয়ন দাখিল করতে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু কোনও লাভ করতে হয়নি। আমি মনোনয়ন দাখিল করে প্রচার শুরু করেছি। এখন যাতে ভোটের শেষ লগ্নে আমি প্রচার করতে না পারি তাই এই নতুন ফন্দি করেছে তৃণমূল। প্রশাসন ঠিক করে তদন্ত করলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।”