জলপাইগুড়ি: তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাসের কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে তীব্র বিতর্ক জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri)। বিজেপি জেলা সভাপতির বাড়ির উঠোনে মূত্র ত্যাগের মতো কটূ মন্তব্য শোনা গেল তৃণমূল নেতার গলায়। অপরদিকে, তৃণমূল নেতাকে মূত্রত্যাগের জন্য নিজের বাড়িতে সাদর আমন্ত্রণ জানালেন বিজেপি নেতা।
শনিবার বিকালে জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতকাটা কলোনী এলাকায় প্রার্থীদের সঙ্গে একটি কর্মী সভা ছিল তৃণমূলের। সেই সভায় বক্তব্য রাখেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা তথা এসসি-এসটি-ওবিসি সেলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস।
সেই সভা থেকে বিজেপি-কে আক্রমণের পাশাপাশি চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন। এরপর হঠাৎই বেফাঁস মন্তব্য করেন কৃষ্ণ দাস। বলেন, “বাপী গোস্বামী মন্তব্য করেছিলেন ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের দিন দুপুরের পর তৃণমূলের কোনও পোলিং এজেন্ট বুথে থাকবে না। জেলার তৃণমূল নেতারা সন্ধ্যার পর মূত্র ত্যাগ করতে বাড়ির বাইরে পর্যন্ত বের হবে না। কিন্তু ফল বেরোনোর পর দেখা গেল জলপাইগুড়ি জেলায় ৭ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে তৃণমূল ৩ টি বিধানসভা আসনে জয়লাভ করেছে। এবারও পঞ্চায়েত ভোটে আমরা ভাল ফল করব।”
পরক্ষণেই আত্মবিশ্বাসী সুরে কৃষ্ণ দাস বলেন যে, এলাকার সমস্ত আসনে তৃণমূলই জয়লাভ করবে। ঠিক একপরই কৃষ্ণ বলেন,”আমি ওনাকে চ্যালেঞ্জ করে বলছি বাড়ির উঠোনে গিয়ে মূত্র ত্যাগ করব। ক্ষমতা থাকলে আমাদের আটকাক।”
ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী জানান, “তৃণমূল নেতার যদি এমন রুচি হয় তবে আমার বাড়িতে অবশ্যই ওনাকে স্বাগত জানাই। উনি আসুক আমার বাড়িতে মূত্র ত্যাগ করুক। আমি উনাকে আপ্যায়ন করব।” শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালে কীভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল তার উল্লেখও করেন বাপিবাবু। বলেন, “যদি এবার অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয় তবে তৃণমূলকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আসলে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওনারা ঘুরে বেড়ায় তো, তাই এতো দাম্ভিকতা। পুলিশ পাশ থেকে সরে গেলে এদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।”