জলপাইগুড়ি: রেললাইনের ধারে আড্ডা মারছিলেন একদল যুবক। ট্রেন আসছিল। এদিকে একটি মেয়ে তখন লাইনের ধার ধরে ছুটছে। পিছনে এক যুবক। বেগতিক বুঝে ছুটে যায় ওই যুবকের দল। এরপরই মেয়েটিকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসে। ছেলেটিকেও ধরে নেয় তারা। এরপরই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই মেয়ে নাবালিকা। কিন্তু সে বিয়ে করতে চায় বছর তেইশের প্রেমিককে। প্রেমিক বুঝিয়েছিল, এখন বিয়ে হলে আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে। অভিযোগ, এরপরই নিজেকে শেষ করে দিতে লাইনে ঝাঁপ মারার চেষ্টা করে সে। শনিবার বিকেলে ধূপগুড়ির স্টেশন মোড় সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এদিকে ওই নাবালিকা বিয়ে করার জন্য মরিয়া। যা কিছু হয়ে যাক এখনই সে বিয়ে করতে চায়।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেলে হঠাৎই তারা দেখেন যুগল রেল লাইনের দিকে ছুটে যাচ্ছে। ওদিকে তখন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস আসছে। বিপদ বুঝে ছুটে যান কয়েকজন। তাতেই রক্ষা পায় ওই প্রেমিক প্রেমিকা। প্রেমিকের দাবি, “আমি কাজ করছিলাম। অচেনা একটা ফোন থেকে ও ফোন করে। দেখা করতে চায়। আমিও যাই ধূপগুড়ি হাইস্কুলের সামনে। কথা হল। আর কাজে যেতে দিচ্ছে না। বলে এখনই বিয়ে করবে। ওকে বোঝাচ্ছি। বলছে, আজ বিয়ে না হলে আত্মহত্যা করবে। এরপরই বাড়ি যাবে বলে হাঁটা লাগায়। আমার সন্দেহ হয়েছিল। পিছু পিছু যাই। দেখি রেললাইনের দিকে যাচ্ছে। আমি ছুটে গিয়ে আটকাই।”
এদিকে প্রেমিকার দাবি, পাঁচ বছরের প্রেম। আর সে বাপের ঘরে থাকতে চায় না। এবার প্রেমের সম্পর্ককে বিয়েতে পরিণতি দিতে চায়। কিন্তু প্রেমিক বলছে বয়স কম। ওই নাবালিকা বলেন, “আমি বাড়ি ফিরতে চাই না। আমি বিয়ে করতে চাই। আমরা দু’জনেই কথা বলেছি। আমি বিয়ে করবই।” উদ্ধারকারী এক যুবক জানান, “আমরা ওদের ধরতেই মেয়েটির কথায় বুঝতে পারি সে আত্মহত্যা করতে চাইছিল। তবে ছেলেটি তাকে বোঝানোর বহু চেষ্টা করছিল।”