oxygen cylinder: সিলিন্ডারে নেই অক্সিজেন, নিশ্চয়যানেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ল যুবকের জীবন

Hospital: চিকিৎসা খরচ বাবদ বিরাট অঙ্কের বিল পরিজনদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়।

oxygen cylinder: সিলিন্ডারে নেই অক্সিজেন, নিশ্চয়যানেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ল যুবকের জীবন
ফাইল চিত্র। PTI
Follow Us:
| Updated on: Oct 18, 2021 | 8:19 PM

ময়নাগুড়ি: অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে ছিল পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাব, যা অজানাই ছিল রোগীর পরিজনদের। সেই অভাবের জেরেই শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। এরপর আর বাঁচানো যায়নি ওই রোগীকে। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকল ময়নাগুড়ি(Maynaguri)।

পথ দুর্ঘটনায় গুরতর আহত এক যুবককে শিলিগুড়ি (Siliguri) নিয়ে যাওয়ার পথে নিশ্চয়যানেই মৃত্যু হল ওই রোগীর। সামান্য অক্সিজেনের অভাব প্রথমে অনিশ্চয়তা এবং ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিল বিষ্ণু বর্মণ নামে এক যুবককে। পরে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দূর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন কোচবিহার জেলার মথাভাঙ্গা শিকারপুর এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক বাইক দুর্ঘটনায় গুরতর জখম হন। এরপর তাঁকে প্রথমে তাকে একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, রক্তাক্ত অবস্থায় ওই রোগীকে ফিরিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়েই তাকে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কিন্তু সেখানে চিকিৎসা খরচ বাবদ বিরাট অঙ্কের বিল পরিজনদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্থ যুবকের অসহায় পরিবার বাধ্য হয়ে জমি বিক্রি করে সেই খরচ মেটান। এরপর সোমবার সকালে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য বিষ্ণুর পরিবার একটি অ্যাম্বুলেন্সে রওনা দেয়। অভিযোগ, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চ্যাংরাবান্ধা এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স আসতেই সিলিন্ডারের অক্সিজেন শেষ হয়ে যায়। স্থানীয় কোনও হাসপাতালের ঠিকানা অ্যাম্বুলেন্স চালকের জানা না থাকায় রোগীকে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের দিকে রওনা দেন তারা।

কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘোষণার পরই মৃতের পরিজন মৃত্যুর কারণ হিসেবে অ্যাম্বুলেন্স চালকের গাফিলতিরকেই সামনে এনেছেন। পরিবারের দাবি, চালক সচেতন না হওয়ার কারণেই এই মৃত্যু হয়েছে। মৃত যুবকের ভাই বিকাশ বর্মণ বলেন, ‘চালকই দায়ী ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানাচ্ছি।’ অন্যদিকে, মা রঞ্জনা বর্মণ বলেন, ‘আমরা চালককে বলেছি যে আরও একটা অক্সিজেন সিলিন্ডার নিতে। কিন্তু তিনি কর্ণপাতই করেননি। ফলে মাঝপথে অক্সিজেন শেষ হয়ে যাওয়ায় আমার ছেলে ছটফট করতে শুরু করে।

ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতলে নিয়ে গেলেও ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। আমরা ওই চালকের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ এদিকে, এই ঘটনায় ঘটনায় ময়নাগুড়ির একপুলিস আধিকারিক বলেন, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে। যদিও আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ দায়ের করলে তার ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে।

আরও পড়ুন: Jago Bangla: ‘সপ্তমীতেই শারদ সংখ্যা শেষ! নতুন করে ছাপতে হল জাগো বাংলার পুজো সংখ্যা’