ঝাড়গ্রাম: সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এক ব্যক্তি। রাত্রি হয়ে গিয়েছিল বুঝে উঠতে পারেননি। হঠাৎ মুখোমুখি এক দাঁতাল। আর তারপরই বিপত্তি। হাতির হামলায় পিষে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির।
মৃতের নাম বঙ্কিম মল্লিক (৪০)। তাঁর বাড়ি ঝাড়গ্রাম ব্লকের সাপধরা পঞ্চায়েতের কুণ্ডুলডিহি গ্রামে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম শহর থেকে বুধবার রাত্রিবেলা সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় কুন্ডলডিহি গ্রামে একটি হাতির সামনে পড়ে যান বঙ্কিমবাবু। ঘটনাস্থলেই পা দিয়ে পিষে আছাড় মারে বঙ্কিম মল্লিককে।
পরে খবর পেয়ে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ ও বন কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা বন দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপর রাত্রিবেলা ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ এলাকায় মৃতদেহটি উদ্ধার করতে গেলে পুলিশ ও বনদফতরের কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।
তাঁদের দাবি বারে-বারে হাতির হামলায় মৃত্যু হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন, বনদফতর কোনও কিছুই করছে না।পরে ঘটনাস্থলে ঝাড়গ্রামের এসডিপিও গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তবে নতুন করে কয়েকটি হাতি ওই এলাকায় চলে আসায় বুধবার ওই এলাকার বাসিন্দারা যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। বন দফতরের পক্ষ থেকে ওই এলাকার মানুষকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বস্তুত, কয়েকদিন আগে ঝাড়গ্রামে ৭০টি হাতির একটি দল গত কয়েক দিন ধরেই দলটি দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল ঝাড়গ্রাম জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। শেষে বন দফতরের পক্ষ থেকে সেই হাতির দলকে ঝাড়খণ্ডের দিকে পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবার সকালে ঝাড়খন্ড রাজ্যের পূর্ব সিংভূম জেলার বনদফতরের অধীন মুসাবনি এলাকায় ৭০টি হাতির দল দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। সিংপুর এলাকাযর সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়েছিল ৭০টি হাতির দলটি। বন দফতরের পক্ষ থেকে ওই এলাকার গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু সুবর্ণরেখা নদীতে হাতির দলের পারাপার দৃশ্য দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান। ঘটনাস্থলে মোতায়েন থাকে বন দফতরের কর্মীরা।