‘বাধ্য হয়ে’ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিল দিলীপ ঘোষের পরিবার!

সায়নী জোয়ারদার | Edited By: নির্ণয় ভট্টাচার্য্য

Jan 12, 2021 | 5:38 PM

'একজন করব না বললে তো বাকিরাও বঞ্চিত হবেন। বাধ্য হয়েই গিয়ে করিয়ে এনেছি', বলছেন দিলীপ ঘোষের ভাই।

Follow Us

ঝাড়গ্রাম: দিনভর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারকে তুলোধনা করছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসাথী-সহ বিভিন্ন প্রকল্প তাঁর কাছে ‘ভাঁওতা’। অথচ সেই দিলীপ ঘোষের পরিবারেই পৌঁছল স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড। যে সে নন, কার্ড গেল তাঁর আপন ভাইয়ের ঘরে। যদিও বিষয়টি জানাজানি হতেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতির ছোট ভাই তথা বিজেপি-রই মণ্ডল সভাপতি হীরক ঘোষ। এখন তাঁর দাবি, কিছুটা ‘বাধ্য’ হয়েই এই কার্ড নিয়েছেন তাঁর স্ত্রী।

ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকের বেলিয়াবেড়া থানার কুলিয়ানা গ্রাম। সেখানেই মা পুষ্পলতা ঘোষ, স্ত্রী গঙ্গা ঘোষ, ছেলে অরিন্দম ঘোষকে নিয়ে থাকেন গোপীবল্লভপুর-২ মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি হীরক ঘোষ। দিলীপ ঘোষ তাঁর মেজদাদা। হীরকবাবু জানালেন, তাঁর স্ত্রী একটি স্বসহায়ক দলের সঙ্গে যুক্ত। সেখানে বাকি সদস্যরাও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়েছেন। তাই এক যাত্রায় আর পৃথক ফল চাননি হীরকবাবু। গত নভেম্বরেই রাজ্য সরকারের এই স্বাস্থ্য প্রকল্পের কার্ডখানা ঘরে তুলে রেখেছেন।

আরও পড়ুন: ‘ট্রাম্প বললেন বিবেকামুণ্ড, হিন্দু ধর্মের সবথেকে বড় ধারক-বাহক পাশে বসে হাততালি দিলেন’

হীরক ঘোষের কথায়, “আমার স্ত্রী বাধ্য হয়েছে কার্ডটা নিতে। না হলে দলের অন্যরা বঞ্চিত হতেন। সেই হিসাব করেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেছে। দেখুন কোনও সুবিধা পাওয়া যাক বা না যাক, আমাদের রাজ্য সরকার তো কেন্দ্রের সবই বঞ্চনা করছেন, সেই হিসাবে রাজ্যের থেকে পাই না পাই গরীব লোকেরা যাতে বঞ্চিত না হন তাই নিলাম। একজন করব না বললে তো বাকিরাও বঞ্চিত হবেন। বাধ্য হয়েই গিয়ে করিয়ে এনেছি।”

তবে এই ‘বাধ্যবাধকতা’ শুধু দিলীপ ঘোষের সহোদরের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। শোনা যাচ্ছে, তাঁদের খুড়তুতো ভাই সুকেশ ঘোষও তাঁর স্ত্রী প্রতিমা ঘোষ, ছেলে অভি ঘোষ এবং দুই মেয়ে অপরূপ ও অনুরূপ ঘোষের জন্যও স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে কার্ড করিয়েছেন। এই সুকেশ ঘোষ আবার বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির সহ সভাপতি।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সত্যরঞ্জন বারিক বলেন, “কোনটা ভুল আর কোনটা ঠিক মানুষ এখন বুঝতে পারবেন। দেরিতে হলেও বিজেপির নেতারা বুঝলেন। আশা করি এবার দিলীপ ঘোষেরও বোধোদয় হবে। তিনি জনসভায় গিয়ে হাত জড়ো করে মানুষের কাছে ভুল স্বীকার করবেন। বলবেন, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পটি ভুল নয়, সঠিক।” একইসঙ্গে সত্যরঞ্জনবাবুর বিশ্বাস, “বিজেপির এই দ্বিচারিতার জবাব জঙ্গলমহলের মানুষ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দেবেন।”

ঝাড়গ্রাম: দিনভর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারকে তুলোধনা করছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসাথী-সহ বিভিন্ন প্রকল্প তাঁর কাছে ‘ভাঁওতা’। অথচ সেই দিলীপ ঘোষের পরিবারেই পৌঁছল স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড। যে সে নন, কার্ড গেল তাঁর আপন ভাইয়ের ঘরে। যদিও বিষয়টি জানাজানি হতেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতির ছোট ভাই তথা বিজেপি-রই মণ্ডল সভাপতি হীরক ঘোষ। এখন তাঁর দাবি, কিছুটা ‘বাধ্য’ হয়েই এই কার্ড নিয়েছেন তাঁর স্ত্রী।

ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকের বেলিয়াবেড়া থানার কুলিয়ানা গ্রাম। সেখানেই মা পুষ্পলতা ঘোষ, স্ত্রী গঙ্গা ঘোষ, ছেলে অরিন্দম ঘোষকে নিয়ে থাকেন গোপীবল্লভপুর-২ মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি হীরক ঘোষ। দিলীপ ঘোষ তাঁর মেজদাদা। হীরকবাবু জানালেন, তাঁর স্ত্রী একটি স্বসহায়ক দলের সঙ্গে যুক্ত। সেখানে বাকি সদস্যরাও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়েছেন। তাই এক যাত্রায় আর পৃথক ফল চাননি হীরকবাবু। গত নভেম্বরেই রাজ্য সরকারের এই স্বাস্থ্য প্রকল্পের কার্ডখানা ঘরে তুলে রেখেছেন।

আরও পড়ুন: ‘ট্রাম্প বললেন বিবেকামুণ্ড, হিন্দু ধর্মের সবথেকে বড় ধারক-বাহক পাশে বসে হাততালি দিলেন’

হীরক ঘোষের কথায়, “আমার স্ত্রী বাধ্য হয়েছে কার্ডটা নিতে। না হলে দলের অন্যরা বঞ্চিত হতেন। সেই হিসাব করেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেছে। দেখুন কোনও সুবিধা পাওয়া যাক বা না যাক, আমাদের রাজ্য সরকার তো কেন্দ্রের সবই বঞ্চনা করছেন, সেই হিসাবে রাজ্যের থেকে পাই না পাই গরীব লোকেরা যাতে বঞ্চিত না হন তাই নিলাম। একজন করব না বললে তো বাকিরাও বঞ্চিত হবেন। বাধ্য হয়েই গিয়ে করিয়ে এনেছি।”

তবে এই ‘বাধ্যবাধকতা’ শুধু দিলীপ ঘোষের সহোদরের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। শোনা যাচ্ছে, তাঁদের খুড়তুতো ভাই সুকেশ ঘোষও তাঁর স্ত্রী প্রতিমা ঘোষ, ছেলে অভি ঘোষ এবং দুই মেয়ে অপরূপ ও অনুরূপ ঘোষের জন্যও স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে কার্ড করিয়েছেন। এই সুকেশ ঘোষ আবার বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির সহ সভাপতি।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সত্যরঞ্জন বারিক বলেন, “কোনটা ভুল আর কোনটা ঠিক মানুষ এখন বুঝতে পারবেন। দেরিতে হলেও বিজেপির নেতারা বুঝলেন। আশা করি এবার দিলীপ ঘোষেরও বোধোদয় হবে। তিনি জনসভায় গিয়ে হাত জড়ো করে মানুষের কাছে ভুল স্বীকার করবেন। বলবেন, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পটি ভুল নয়, সঠিক।” একইসঙ্গে সত্যরঞ্জনবাবুর বিশ্বাস, “বিজেপির এই দ্বিচারিতার জবাব জঙ্গলমহলের মানুষ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দেবেন।”

Next Article