Jhargram: বাড়িতেই মৃত্যু! তার ফল পরিবারকে ভুগতে হচ্ছে মৃত্যুর পরও

Gaya Dandapat | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 11, 2023 | 4:19 PM

Jhargram: পরিবারের অভিযোগ, পাতাশিমুল গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরে গিয়ে বারবার ফিরে আসতে হচ্ছে তাঁদের। পঞ্চায়েত প্রধান ডাক্তারের সার্টিফিকেট চেয়েছেন বলে দাবি তাঁদের। কিন্তু সেটা না থাকায় সমস্যা

Jhargram: বাড়িতেই মৃত্যু! তার ফল পরিবারকে ভুগতে হচ্ছে মৃত্যুর পরও
স্বামীর মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে সমস্যা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

ঝাড়গ্রাম: অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘদিন। বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছিল। পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসককে ডাকেননি। ফলে কোনও প্রেসক্রিপশন পাওয়া যায়নি। আর সেই কারণ দর্শিয়েই মৃত্যুর দেড় মাস পরও শংসাপত্র পেলেন না পরিবারের সদস্যদের। এক্ষেত্রে পঞ্চায়েত অফিসকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ঝাড়গ্রামের পাঠাসিমুল পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা।

গত ২১ অক্টোবর মৃত্যু পাঠাসিমুল এলাকার বাসিন্দা বরি রায়ের। এরপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটি দিন, কিন্তু বরি রায়ের পরিবার এখনও তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পাননি। তবে এই অভিযোগ শুধু বরি রায়ের পরিবারের নয়, ওই এলাকার আরও কয়েকটি পরিবার মৃতের শংসাপত্র পেতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন পঞ্চায়েত অফিসে। ঘটনাটি ঝাড়গ্রাম ব্লকের পটাশিমুল গ্রাম পঞ্চায়েতে।

পঞ্চায়েত অফিসের কাজকর্ম নিয়ে অনেক অভিযোগ স্থানীয় গ্রামবাসীদের। কিন্তু মৃতের শংসাপত্রের জন্য এভাবে দিনের পর দিন হন্যে হয়ে ঘোরা মেনে নিতে পারছেন না অনেকে। বাড়ছে ক্ষোভও। বরি রায়ের পরিবারের দাবি, বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর সকলকে জানিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

পরিবারের অভিযোগ, পাতাশিমুল গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরে গিয়ে বারবার ফিরে আসতে হচ্ছে তাঁদের। পঞ্চায়েত প্রধান ডাক্তারের সার্টিফিকেট চেয়েছেন বলে দাবি তাঁদের। কিন্তু সেটা না থাকায় সমস্যা। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ, মাত্র কয়েকমাস আগে তৃণমূল কংগ্রেস এই পঞ্চায়েত দখল নেয় বিপুল ভোটে জিতে। কিন্তু এরমধ্যেই পঞ্চায়েত অফিসের কর্মচারীরা নিজেদের মতো করে অফিস খোলেন।

অভিযোগ, পঞ্চায়েত কর্মীরাও ঠিক সময়ে অফিসে যান না। পাতাশিমুল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি । মাত্র কয়েকমাস আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জঙ্গলমহলে সবুজ ঝড় তুলে আধিপত্য বিস্তার করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এরমধ্যেই যদি সামান্য ডেথ সার্টিফিকেট পেতে যদি দেড় মাস ধরে ঘুরতে হয়, তবে আগামী পাঁচ বছর কী হাল হবে, সেটা ভেবেই চিন্তিত গ্রামবাসীরা।  শনিবার গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত অফিসে তালা লাগিয়ে দেন।  তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এ প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি প্রসূন সরঙ্গি বলেন, “এরকমটা হওয়ার কথা নয়। আমাদের দলের নির্দেশই রয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যরা যাতে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেন। যদি এই ধরনের কোনও অভিযোগ উঠেই থাকে, তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলা হবে।”

Next Article