Jhargram: জিনাত! এই ‘মেয়ে’র নাম শুনেই বুক কাঁপছে আধিকারিকদের, নতুন করে আতঙ্কে জঙ্গলমহল

Gaya Dandapat | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 11, 2024 | 2:36 PM

Jhargram: ইতিমধ্যেই চাকুলিয়া রেঞ্জে থাকা রাজাবাসা, হাতিবাড়ি, গডরাশোল, জামবনি, কালিয়ান, শালবনি এবং কালাঝোর গ্রামের বাসিন্দাদের সতর্ক করে বিশেষ বার্তাও দেওয়া হয়েছে।

Jhargram: জিনাত! এই মেয়ের নাম শুনেই বুক কাঁপছে আধিকারিকদের, নতুন করে আতঙ্কে জঙ্গলমহল
জঙ্গলমহলে চলছে মাইকিং
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

ঝাড়গ্রাম: বুনো হাতির পাশাপাশি এবার বাঘকে ঘিরেও ঝাড়গ্রাম জেলায় আতঙ্ক। বনদফতর সূত্রে খবর, ওড়িশার সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভের ঘেরাটোপ থেকে পালিয়েছে। বছর তিনেকের বাঘিনী, জিনাত। তার গলায় আটকানো জিপিএস ট্রাকারে. এখন অবস্থান দেখাচ্ছে, ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া ব্লকের রাজাবাসা জঙ্গল। পথভ্রষ্ট বাঘিনী জিনাত, অভিমুখ না বদলালে, কাঁকড়াঝোড় হয়ে বেলপাহাড়ির দিকেও চলে আসার আশঙ্কা। আর তাতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে।

ওড়িশার সিমলিপাল ও ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া রেঞ্জের আধিকারিকরা যৌথভাবে জিনাতের গতিবিধির উপর চব্বিশ ঘণ্টা নজরদারি করছেন। ইতিমধ্যেই চাকুলিয়া রেঞ্জে থাকা রাজাবাসা, হাতিবাড়ি, গডরাশোল, জামবনি, কালিয়ান, শালবনি এবং কালাঝোর গ্রামের বাসিন্দাদের সতর্ক করে বিশেষ বার্তাও দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পরিত্যক্ত এয়ারস্ট্রিপ রোড এড়িয়ে চলতে। গৃহপালিত পশুদের আপাতত জঙ্গলে দিকে না চরাতেও বলা হয়েছে।

তিন বছরের বাঘিনী জিনাতকে সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভে আনা হয়েছিল মহারাষ্ট্রের টাডোবা আন্ধেরি টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে। ওড়িশার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সপ্তাহ দুয়েক জিনাতকে সেখানে রাখা হয়েছিল ঘেরাটোপের মাঝে। আর তারপরই তাকে মুক্ত জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়। অভয়ারণ্য়ের সেই মুক্ত জায়গা থেকেই কোনওভাবে বেরিয়ে গিয়ে জিনাত সোজা চলে এসেছে ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া ফরেস্ট রেঞ্জে।

বন আধিকারিকদের অভিমত, বাঘের তুলনায় বাঘিনী, দ্রুত যে কোনও জঙ্গলের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। জিনাতের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে জিপিএস ট্র্যাকার কলার থাকায়, গতবিধি বদলের আপডেটও দ্রুত মিলছে বন দফতরের আধিকারদের কাছে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপও নিয়েছেন পড়শি দুই রাজ্যের বন আধিকারিকরা।

যে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে, একদিকে যেমন দুই রাজ্যের বনদফতরের যৌথবাহিনী প্রতি মূহূর্তে নজরদারি চালাচ্ছে, তেমনি সতর্ক করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীদেরও।

Next Article