ঝাড়গ্রাম: কাঁপুনি ধরাচ্ছে জিনাত। বাড়ছে ভয়। শেষ পাওয়া আপডেট বলছে, ঝাড়গ্রাম জেলার বর্ডার থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে বাঘিনী জিনাত। তবে এখনও তাঁকে পাকড়াও করা যায়নি। চালানো যায়নি ঘুমপাড়ানি গুলি। তবে কোনও অপ্রতীকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে কারণে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বন দফতর। বন দফতর জানাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া রেঞ্জের, চিয়ারবান্ধির গ্রামের পার্শ্ববর্তী সোনাঝুরি জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই দামাল রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এলাকার সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ঘাটশিলার চিয়ারবান্ধি,পান্দ্রাশোলি, ধাধকা, খাড়বান্ধা এলাকায় জারি হয়েছে ১৬৩ ধারা। কড়া প্রহরা জারি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মহকুমা শাসক সুনিল চন্দ্র। যদিও তারপরেও কাটছে না উদ্বেগের মেঘ।
জঙ্গলে যাতে কেউ ঢুকতে না পারে সে জন্যও চলছে নজরদারি। সদা সতর্ক বন দফতরের কর্মীরা। পাহারায় চাকুলিয়া বনবিভাগ। যে জঙ্গলে বাঘিনি ঢুকেছে সেটি প্রায় ৫০০ মিটার বিস্তৃত বলে জানা যাচ্ছে। জিনাতকে বাগে আনতে ইতিমধ্যেই জঙ্গলের ধারে টোপ হিসাবে তিনটি মোষও বাধা হয়। তবে জিনাত একটা মোষকে কাবু করলেও জিনাতকে কাবু করতে পারেনি বন দফতর। কর্মীরা বলছেন, অবস্থা যা ছিল তাতে চালানো যেত না ঘুমপাড়ানি গুলি। তবে শীঘ্রই ফের একবার সেই চেষ্টা হবে।
তবে সবথেকে বেশি উদ্বেগ বেড়েছে ঝাড়গ্রামে। কারণে যে জায়গায় এখন জিনাত ঘুরে বেড়াচ্ছে সেখান তেকে ঝাড়গ্রাম মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে। ওদূরেই ঝাড়খণ্ড। তাই ওড়িশা থেকে জিনাত পালিয়ে এলেও চিন্তা বাড়ছে বাংলা-ঝাড়খণ্ডে। সতর্ক রয়েছে বন বিভাগ। এখন দেখার কবে খাঁচা বন্দি করা যায় জিনাতকে।