ঝাড়গ্রাম : কুড়মি আন্দোলন কতটা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে, তা গত কয়েক মাসে অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে। সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলার ঘটনাতেও নাম জড়িয়েছে কুড়মি আন্দোলনের। একাধিক কুড়মি নেতাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সেই আন্দোলন সামাল দেওয়া ক্রমশ চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে রাজ্য সরকারের কাছে। এমতাবস্থায় কুড়মিদের সামলাতে কী করতে হবে, সেই পরামর্শ দিয়েছেন জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। প্রাক্তন মন্ত্রীর সেই পরামর্শকে ‘দ্বিচারিতা’ বললেন কুড়মি নেতারা। দুর্নীতির গায়ে গ্রেফতার হওয়া পার্থর পরামর্শ ভাল চোখে দেখছেন না তাঁরা।
মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা হয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আদালত থেকে বেরনোর সময় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি পরামর্শ দেন, আলাপ আলোচনার মধ্যেই যেন সরকার সমস্যার সমাধান করে। দমন পীড়ন নীতি অবলম্বন করা ঠিক হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থাশীল।”
মন্ত্রী থাকাকালীন কেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় কুড়মিদের নিয়ে ভাবলেন না, সেই প্রশ্নই তুলছেন কুড়মিরা। ঝাড়গ্রামের কুড়মি নেতা অশোক মাহাত বলেন, “আমরা এর আগে যখন বিক্ষোভে বসেছিলাম, তখন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। তিনি মন্ত্রী থাকাকালীন, আমাদের বিষয়ে কিছুই ভাবেননি। আর যখন উনি জেলে আছেন, তখন একথা বলছেন। এটা ওঁর দ্বিচারিতা। জেলে থাকার সময় উনি আমাদের পক্ষে আর মন্ত্রী থাকাকালীন বিপক্ষে?” তবে পার্থর কথাটা যে সত্য, তা স্বীকার করেছেন কুড়মি নেতা। তিনি একমত যে, দমন পীড়ন করে নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব।